রাজধানীর মাস্টারমাইন্ড স্কুলের 'ও' লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনকে ধর্ষণের পর হত্যার প্রমাণ মিলেছে। এমনকি তার শরীরে ‘ফরেন বডি’ ব্যবহারের আলামতও পাওয়া গেছে বলে ডিএনএ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
আনুশকা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) আহসান হাবিব পলাশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মামলাটির তদন্ত শেষ পর্যায়ে। দুয়েক সপ্তাহের মধ্যে চার্জশিট দেওয়া হতে পারে।
গত ১০ জানুয়ারি আনুশকা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ডিএনএ পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন আদালত। নির্দেশ মোতাবেক তার ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। আনুশকার ডিএনএ রিপোর্ট নিয়ে কাজ করার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ছিলেন ডা. সোহেল মাহমুদ। তিনি বর্তমানে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ডিএনএ রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। পাশাপাশি ফরেন বডি ইনট্রোডাকশানও পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি রাজধানীর কলাবাগানে গ্রুপ স্টাডির কথা বলে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া যায়।
পরেরদিন ৮ জানুয়ারি এ ঘটনার একমাত্র আসামি ও আনুশকার বন্ধু ইফতেখার ফারদিন দিহানকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তুললে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পাশবিকতা ও নিষ্ঠুরতার সঙ্গে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান আইনাজীবীরা।
ধর্ষণের পর রক্তক্ষরণ হলে নির্যাতিতাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যায় অভিযুক্ত নিজেই। এর মধ্যে নির্যাতিতার মাকে ফোন করে মেয়ের অসুস্থতার কথা জানায় সে। হাসপাতালে আসার আগেই মেয়ের মৃত্যুর খবর পান মা। এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন দিহান।