সমকামী অধিকারকর্মী জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয় হত্যাকাণ্ড মামলার রায় ঘোষণা হবে আগামী ৩১ আগস্ট। ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন।
সোমবার (২৩ আগস্ট) রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক এ তারিখ নির্ধারণ করে দেন। ৩১ অগাস্টই জানা যাবে এই মামলায় সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসসহ আট আসামির সাজা হবে কি না।
গত বছরের ১৯ নভেম্বর আলোচিত এই হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। অভিযুক্ত ৮ আসামি হলেন চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক, আকরাম হোসেন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী, জুনাইদ আহমদ ওরফে মওলানা জুনায়েদ আহম্মেদ ওরফে জুনায়েদ, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ ও আসাদুল্লাহ।
আসামিদের মধ্যে প্রথম ৪ জন পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। বাদবাকি ৪ জন কারাগারে আছেন।
২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয়কে রাজধানীর কলাবাগানের লেক সার্কাস রোডে অবস্থিত জুলহাজের বাড়িতে প্রবেশ করে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ওই ঘটনায় জুলহাজের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান ইমন কলাবাগান থানায় একটি হত্যা মামলা এবং সংশ্লিষ্ট থানার এসআই মোহাম্মদ শামীম অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
নিহত জুলহাজ বাংলাদেশে নিযুক্ত প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনার প্রটোকল কর্মকর্তা ছিলেন। নিহত তনয় নাট্য সংগঠন পিপলস থিয়েটারে জড়িত ছিলেন।
এই হত্যাকান্ডের ৩ বছর পর ২০১৯ সালের ১২ মে জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় দায়ের করা মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মুহম্মদ মনিরুল। জঙ্গিরা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল বলে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে।
চার্জশিট দেওয়ার পর মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করার আদেশ দেওয়া হয় ২০১৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি।