হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমির শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুকে `হত্যা' দাবি করে এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চেয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, “নির্যাতনের মাধ্যমে আল্লামা শফীর মৃত্যুর ঘটনার বিচার চেয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছিল। দীর্ঘ তদন্তের পর পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। আমরা চাই, আল্লামা শফী 'হত্যার' উপযুক্ত বিচার হোক।”
বুধবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকায় নিজ বাসভবনে সীমিত পরিসরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ড. হাছান। এসময় পবিত্র রমজান ও বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন উপলক্ষে তিনি নতুন বছরে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের করোনামুক্তি কামনা করেন।
সেসময় সাংবাদিকরা সাম্প্রতিক প্রসঙ্গে হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আমির মওলানা আল্লামা আহমদ শফী হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন বিষয়ে প্রশ্ন করেন। এর জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্যাতনের মাধ্যমে মওলানা শফীর মৃত্যুর ঘটনার বিচার চেয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছিল। দীর্ঘ তদন্তের পর পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। যতটুকু জেনেছি এ হত্যাকাণ্ডে সংগঠনটির নেতাসহ বেশ কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ দিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে পিবিআই।’
তিনি বলেন, ‘মওলানা শফী সাহেব আমার নির্বাচনী এলাকার ও আমার পাশের ইউনিয়নের একজন আলেম ছিলেন। তার মতাদর্শ নিয়ে নানা কথা থাকলেও মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন সজ্জন। যারা মামলা করেছেন, তারাও আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ। আমি চাই, আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ মওলানা শফী সাহেবকে যারা নির্যাতন করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে, তাদের উপযুক্ত দৃষ্টান্তমূলক বিচার হোক।’
ড. হাছান বলেন, ‘হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা শতবর্ষী মওলানা শফীর চরম অসুস্থতাকালে তার কক্ষ ভাংচুর করা, হাসপাতালে নেবার পথে এক ঘন্টা গাড়ি আটকে রাখা, অক্সিজেন টিউব খুলে নেয়া, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা -এসব সবাই দেখেছে।’
নির্যাতনের মাধ্যমে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়ার বিষয়টি স্পষ্ট এবং তখনকার পত্রপত্রিকায় এবিষয়ে সংবাদ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্যাতনের বিভিন্ন চিত্র প্রকাশিত হয়েছিল বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।
করোনা সংক্রমণরোধে লকডাউনের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরূপ মন্তব্য সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণকে মহামারীর হাত থেকে রক্ষার জন্যই সরকার লকডাউনের ব্যবস্থা নিয়েছে। বিশ্বের দেশে দেশেও একই ব্যবস্থা। কিন্তু দু:খজনক, মির্জা ফখরুল সাহেবদের কথা শুনে মনে হয়, তারা চান, দেশে করোনা সংক্রমণ আরো ব্যাপক বৃদ্ধি পাক, প্রতিদিন দেশে শতশত মানুষের মৃত্যু হোক, তাহলে তাদের রাজনীতিতে সুবিধা হয়।’