ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১, ০৯:২৯ পিএম
দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে আরো বিনিয়োগ করতে শ্রীলংকার প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সকালে গণভবনে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত শ্রীলংকান হাইকমিশনার সুদর্শন দীপাল সুরেশ সিনিভিরন্তে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে এলে তিনি এ্ই আহবান জানান। পরে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস)খবরে বলা হয়, সাক্ষাতের সময় শ্রীলংকার হাইকমিশনার বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশন খাত এবং নার্সদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি শিপিং, হাসপাতাল, পর্যটন, শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক খাতে বিনিয়োগ ও কাজ করার ব্যাপারে আগ্রহী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে সুদর্শন দীপাল বলেন, তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিগত কয়েক বছরে প্রভূত উন্নতি করতে সমর্থ হয়েছে। বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ এবং শিল্প আসা উচিত বলেও শ্রীলংকার হাইকমিশনার অভিমত ব্যক্ত করেন। হাইকমিশনার বলেন, তার দেশ সমুদ্র ভ্রমণ চালুর পাশাপাশি বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকার মধ্যে কালচারাল ট্যুরিজম গড়ে তুলতে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় পর্যটন অবকাঠামো গড়ে তুলতে চায়।
কোভিড-১৯ মোকাবেলাতেও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন শ্রীলংকার হাইকমিশনার এবং বলেন, তিনি বাংলাদেশের করোনাভাইরাস ব্যবস্থাপনায় ‘যার পর নাই বিস্মিত’ হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী এ সময়ে বলেন, দেশজুড়ে একশ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে বাংলাদেশ এবং এখানে বিদেশীদের জন্য প্রদত্ত অনুকূল ব্যবসার সুযোগ গ্রহণ করে শ্রীলংকার উদ্যোক্তাগণ বিনিয়োগ করতে পারেন।
করোনাভাইরাস সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার জনগণের মধ্যেএ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে, যাতে লোকজন এর সম্পর্কে সতর্ক হয় এবং সেভাবেই এই মহামারীকে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে।
শ্রীলঙ্কার দূত এই ভ্যাকসিন প্রাপ্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন, কেননা সরকার দেশের জনসাধারণের পাশাপাশি কূটনীতিক এবং বিদেশীদেরও টিকা দিচ্ছে।
ডব্লিউএইচও’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন মনোনীত হওয়ায় সায়মা ওয়াজেদ হোসেনকে অভিনন্দন জানিয়ে হাইকমিশনার বলেন, অটিজম ক্ষেত্রে তার কাজ প্রশংসনীয়।
বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রীলংকা অটিজম খাতে সহযোগিতার সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী বলেও তিনি যোগ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সময় এটা পিতা-মাতার জন্য লজ্জার কারণ ছিল অটিস্টিক ছেলে-মেয়ে এবং তারা তাদের বাইরে আনতে চাইত না।
নিজের ছাত্র জীবনের কথা স্মরণ করে হাই কমিশনার বলেন, দিল্লীতে পড়ালেখা করার সময় বাঙালীদের ওপর পাকিস্তানি অমানবিক বর্বরতার পোস্টার দেখে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার চেষ্টা করেন। এসময়ে প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশকে সহযোগিতা প্রদানের জন্য হাইকমিশনারকে ধন্যবাদ জানান।
সরকার প্রধানের সঙ্গে শ্রীলংকার নতুন হাইকমিশনারের সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।