এই সরকারের হাতে ন্যূনতম ক্ষমতা থাকা অবস্থায় কোনো নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, জনগণ চায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। যা বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখে সম্ভব নয়। গাইবান্ধার উপ-নির্বাচনই তার প্রমাণ।
খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে শুক্রবার দুপুরে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। আগামী ২২ অক্টোবর নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে অনুষ্ঠিতব্য খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে বিএনপি এই সভার আয়োজন করা হয়।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, কেউ কেউ বলছে নির্বাচন কমিশন যে সৎ তা প্রমাণ করার জন্য সম্ভবত এই নির্বাচন স্থগিত করেছে। পাশাপাশি তাদের অক্ষমতাও পরিষ্কারভাবে প্রমাণিত। সুতরাং, আমাকেও যদি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) করা হয়, আমি নিজের ভোটটা দিতে পারব কিনা সন্দেহ।
আমাদের লক্ষ্য আগামী ২২ অক্টোবর খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করা। সরকার নতুন নতুন কৌশলে বাধা দেয়। যদি এমন কোনো বাধা আসে, যেখানে বাধা দেওয়া হবে, সেখানে যুদ্ধ শুরু করতে হবে। এই বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে হবে বলে জানান গয়েশ্বর।
তিনি আরও বলেন, মূল দাবি যদি আমরা আদায় করতে যাই, তাহলে এই সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। সরকারের পতনটা নিশ্চিত করতে হবে। একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। সেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পরবর্তীতে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন- বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। বক্তৃতা করেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা। সভায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব উপস্থিত ছিলেন।