কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে মসজিদে বা জামাত নামাজের অনুমতি

কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্তের বা জামাত নামাজসহ জুম'আর নামাজ আদায় করা যাবে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। বুধবার (৩০ জুন) মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনার প্রাদুর্ভাবজনিত কারণে সারা দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কতিপয় বিধিনিষেধ আরোপ করে নির্দেশনা জারি করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সকল ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং মসজিদসমূহে জামায়াতে নামাজের জন্য আবশ্যিকভাবে নিম্নবর্ণিত শর্তসমূহ পালনের জন্য অনুরোধ করা হলো-

১. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে।

২. আগত মুসল্লিদেরকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।

৩. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু করে সুন্নত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

৪. মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে, মুসল্লিগণ প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে।

৫. কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে; শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যে কোন অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামায়াতে অংশগ্রহণ করা হতে বিরত থাকবে।

৬. সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদের ওযুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

এ ছাড়াও করোনা মহামারি থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত দোয়ার জন্যও আহ্বান জানানো হয় এই প্রজ্ঞাপনে মসজিদের মতই অন্যান্য সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান/উপাসনালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার/সাবান দিয়ে হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব যথাযথভাবে অনুসরণ করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নির্দেশনাগুলো না মানলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

• বিষয় :
• নামাজ
• লকডাউন
• মসজিদ খোলা