কারও প্রেসক্রিপশনে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে না: ওবায়দুল কাদের

জাতীয় ডেস্ক

জুলাই ২, ২০২৩, ০৯:৪৪ পিএম

কারও প্রেসক্রিপশনে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে না: ওবায়দুল কাদের

সংগৃহীত ছবি

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিদেশিদের কথা ও ভালো পরামর্শ পেলে শুনব। তবে আমরা কারও নির্দেশ বা নিয়ন্ত্রণে থাকব না। কারও প্রেসক্রিপশনে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে না। নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে।’

রবিবার (২ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে পুরোপুরি গণতন্ত্র চলে এসেছে, এটা এখনো আমরা বলতে পারব না। আরও কয়েকটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক তখন গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে।’ 

তিনি বলেন, ২০১৪ বা ২০১৮ সালের নির্বাচনের প্রসঙ্গ আসে বারবার। যারা এই প্রসঙ্গ তুলছেন তাঁদের নিজ নিজ দেশের গণতন্ত্রের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। কাউকে খুশি করার জন্য নয়, প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এবং এটাই সত্য। বিএনপি নির্বাচনে আসুক সরকার এখনো চায়। একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেশে হবে এটাই চায়। তবে বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে তাও নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, ‘সরকারের এখন অগ্রাধিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষের জীবনটাকে স্বস্তির করতে। এখন যে সমস্যা চলছে এখান থেকে বের হওয়ার চেষ্টা চলছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন মানুষের জীবনযাত্রার স্বস্তি দিতে চেষ্টা করতে। আমরা সেটা করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকারের মেয়াদের শেষ পর্যায়ে আমরা চলে এসেছি। এখন বিশ্বে একটি অর্থনৈতিক সংকট চলছে। তাই বড় বড় প্রকল্পে এই মুহূর্তে হাত দেওয়া যাবে না। এখন আমাদের মনোযোগ দিতে হবে জিনিসপত্রের দামের ওপর। যাতে সাধারণ মানুষের জীবনটা স্বস্তির হয়।’

এ বছর ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহাও ঘরমুখো মানুষের জন্য স্বস্তিদায়ক ছিল জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এমন একটা সরকার এখন আছে যারা সত্যকে লুকোচ্ছে না। তাই বিএনপি যা–ই বলুক দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ে এটা তাদের মনগড়া কথা। তাদের সময় খাওয়ার অভাবে মানুষ আত্মহত্যা করেছে। এখন জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও একজন মানুষও না খেয়ে নাই।

তিনি বলেন, এ বছর দুর্ঘটনার হারও কম হয়েছে এখন পর্যন্ত। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য কিছু কিছু জায়গায় যানবাহনের ধীর গতি ছিল। তবে সার্বিকভাবে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কম হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বেশি সমন্বিত উদ্যোগ নিলে এসব সমস্যা আরও কাটানো যাবে। এ বছর ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহাও ঘরমুখো মানুষের জন্য স্বস্তিদায়ক ছিল।

Link copied!