অক্টোবর ৫, ২০২২, ০৪:০৭ পিএম
পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করে ফেরার পথে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের গাড়িতে গুলি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে দেবীদ্বার পৌরসভার ভিংলাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় চেয়ারম্যান অক্ষত থাকলেও আহত হয় তার ৫ জন কর্মী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত চেয়ারম্যানের কর্মী সজীব মিয়াকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের অভিযোগ, কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনের সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের অনুসারীরা এই হামলা চালিয়েছে।
স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, রাতে দেবীদ্বার পৌরসভার আলিয়াবাদ এলাকায় পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে যান উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। তিনি পূজামণ্ডপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল ও তার অনুসারীরা প্রবেশ করেন। একপর্যায়ে পূজামণ্ডপের গাড়িবহরের গাড়ি রাখা নিয়ে দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে ঝামেলা হয়।
সেসময় পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিলেও মন্দির থেকে ফেরার পথে ভিংলাবাড়ি এলাকায় আবারও উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি হয়। এ সময় পাঁচজন আহত হন। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান আজাদের সরকারি গাড়িতে কয়েকটি গুলি করা হয়। এতে গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একইসঙ্গে তার ব্যক্তিগত গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
হত্যার উদ্দেশ্যে সংসদ সদস্যের অনুসারীরা গুলি করে বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, ‘এমপি রাজী ফখরুলের নেতাকর্মীরা তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আমার নেতাকর্মীদের মারধর করেছে। আমি থামাতে গেলে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কয়েক রাউন্ড গুলি করা হয়। সন্ত্রাসীরা আমার ব্যবহৃত গাড়িটি ভাঙচুর করেছে। আমার সরকারি গাড়িতেও গুলি করেছে, সৌভাগ্যক্রমে আমি বেঁচে যাই। ’
এ দিকে চেয়ারম্যানের দাবি অস্বীকার করে এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘চেয়ারম্যান আজাদের গ্রুপ পরিস্থিতি অন্যদিকে নিতে নোংরা রাজনীতির পথ বেছে নিয়েছে। তার লোকজনই আমার গাড়িবহর লক্ষ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে এবং লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে হামলা করে। ’
দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এই ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।