জুলাই ১০, ২০২৩, ০৩:৫৫ পিএম
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাপারে কোনো দয়া নয় বরং ন্যায়বিচার চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার কথায় কথায় বলেন— খালেদা জিয়াকে দয়া দেখিয়ে বাসায় রেখেছি। আমরা দয়া চাইনি, জাস্টিস চেয়েছি। আমরা ন্যায়বিচার চেয়েছি, প্রাপ্যটা চেয়েছি।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও রফিকুল ইসলাম মিয়ার শারীরিক সুস্থতা কামনায় ওই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
দোয়া মাহফিলেরে পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “সরকার কথায় কথায় বলেন, খালেদা জিয়াকে দয়া দেখিয়ে বাসায় রেখেছি। আমরা দয়া চাইনি, জাস্টিস চেয়েছি। আমরা ন্যায়বিচার চেয়েছি, প্রাপ্যটা চেয়েছি।”
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে যে কক্ষে রাখা হয়েছিল, সেটি বসবাসের উপযোগী ছিল না দাবি করে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, “ তিনি ওই সময় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই সময় ডাক্তাররা একাধিকবার গণমাধ্যমে বলেছেন— খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা জরুরি। কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। পরে করোনা শুরু হয়ে গেলে বাসায় পাঠিয়ে দেয় সরকার।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “ তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কারো দয়া চাননি। তাকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। চিকিৎসকরা বারবার তাকে বিদেশ নিয়ে চিকিৎসার কথা বলছেন। কিন্তু সরকার তাকে সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।”
সরকার দলের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা ও তাদের হয়রানি করছে অভিযোগ তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, “একটি গণতান্ত্রিক দেশে ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে এই ফ্যাসিস্ট সরকার। এমন কোনো নেতাকর্মী নেই, যার বিরুদ্ধে মামলা দেয়নি তারা।”
এ দেশে আমরা কোনো রাজা-রানির রাজত্বে বাস করি না উল্লেখ করে এসময় তিনি আরও বলেন, “আমরা একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। সেই গণতন্ত্রই আজ দেশে অনুপস্থিত।”