গ্যাসের দাম বাড়ানোর কারণ জানাল মন্ত্রণালয়

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জানুয়ারি ১৮, ২০২৩, ১০:২৩ পিএম

গ্যাসের দাম বাড়ানোর কারণ জানাল মন্ত্রণালয়

বিদ্যুতের পর এবার সরকারের নির্বাহী আদেশে শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।

মূল্যবৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে সরকার বলেছে, বিশ্ববাজারে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সরকারকে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হচ্ছিল। এ কারণে গত বছরের আগস্ট থেকে স্পট মার্কেটে এলএনজি কেনা বন্ধ আছে। কিন্তু চলমান সেচ মৌসুম, আসন্ন রমজান, গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের বাড়তি চাহিদা মেটানো এবং শিল্প খাতে উৎপাদন নিরবচ্ছিন্ন রাখতে বাড়তি গ্যাস লাগবে। এই চাহিদা পূরণ করা হবে স্পট মার্কেট থেকে উচ্চমূল্যে এলএনজি আমদানি করে। এ কারণেই বিদ্যুৎ, শিল্প, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে দেখা যায়, বৃহৎ শিল্প খাতে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ১১ টাকা ৯৮ পয়সা থেকে প্রায় তিন গুণ বেড়ে ৩০ টাকা হয়েছে।

মাঝারি শিল্প খাতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ১১ টাকা ৭৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা এবং ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প খাতে ১০ টাকা ৭৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে।

শিল্পে উৎপাদিত নিজস্ব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (ক্যাপটিভ) জন্য ইউনিট প্রতি গ্যাসের দাম ১৬ টাকা থেকে প্রায় দ্বিগুণ বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে। সরকারি, আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে ৫ টাকা ২ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪ টাকা।

হোটেল ও রেস্তোরাঁর মত বাণিজ্যিক খাতে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম আগে ছিল ২৬ টাকা ৬৪ পয়সা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩০ টাকা ৫০ পয়সা। নতুন এই দর ফেব্রুয়ারি থেকেই কার্যকর হবে।

দাম বাড়ানোর ব্যাপারে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ বলেছে, বর্তমান বৈশ্বিক বিশেষ জ্বালানি পরিস্থিতি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী সব জ্বালানির মূল্যে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। এছাড়া, জ্বালানি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যয়, যেমন: বিমা খরচ, ঝুঁকি ব্যয়, ব্যাংক সুদ, মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকা দুর্বল হওয়ায় সামগ্রিকভাবে জ্বালানি খাতে ব্যয় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে স্পট মার্কেট থেকে আমদানি বন্ধ করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও শিল্পসহ সকল খাতে গ্যাস রেশনিং করা হচ্ছে।

তবে গৃহস্থালি, সিএনজি, চা-শিল্প (চা-বাগান) ও সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

Link copied!