চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ১৫ জুন। সবগুলো ফ্লাইট চালাবে বাংলাদেশ বিমান এবং বিলাসবহুল বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ দিয়ে। ঢাকা থেকে বাংলাদেশ বিমানের পাশাপাশি সৌদি এয়ারলাইন ও ফ্লাই নাস ফ্লাইট পরিচালনা করলেও চট্টগ্রাম থেকে ওই দুটি বিদেশি বিমান সংস্থার ফ্লাইট থাকছে না।
জানতে চাইলে বিমান বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক সলিম উল্লাহ বলেন, ‘১৫ জুন থেকে আমাদের হজ ফ্লাইট শুরু হবে, চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত। ১১টি ফ্লাইটের মধ্যে চট্টগ্রাম-মদিনা ২টি এবং চট্টগ্রাম-জেদ্দা ৯টি ফ্লাইট। এই ১১টি ফ্লাইট ছাড়াও বাংলাদেশ বিমানের নিয়মিত শিডিউল ফ্লাইটেও যাত্রী পরিবহন করা হবে।
তিনি বলেন, সাড়ে ৫ হাজারের মতো হজ যাত্রী আমরা চট্টগ্রাম থেকে পরিবহনের আশা করছি। ১১টি ডেডিকেটেড বা নিরবচ্ছিন্ন হজ ফ্লাইট ছাড়াও প্রতি সপ্তাহে ৪টি শিডিউল বা নিয়মিত ফ্লাইটে হজ যাত্রী পরিবহন করবে বাংলাদেশ বিমান।
এবার বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার হজ যাত্রী হজ করতে সৌদি যাবেন। মোট যাত্রীর অর্ধেক যাবে সৌদি এয়ারলাইনস ও ফ্লাই নাস বিমান সংস্থায়। বাকি অর্ধেক বাংলাদেশ বিমানে। এরমধ্যে চট্টগ্রাম থেকে ৫৫০০ জন হজ করতে যাবেন।
জানতে চাইলে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রামের সভাপতি শাহ আলম বলেন, আমরা আশা করছি চট্টগ্রাম থেকে এবার নির্বিঘ্নভাবে ফ্লাইটে হজযাত্রীরা যেতে পারবেন। চট্টগ্রামের যাত্রীরা চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকেই সরাসরি সৌদি আরব যাবেন আবার সরাসরি চট্টগ্রামেই ফিরবেন। ফলে ভোগান্তি থাকবে না।
গত ২৬ মে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর ৫৯ হাজার টাকা খরচ বাড়ার ফলে সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ-১ এর খরচ বেড়ে হচ্ছে ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪০ টাকা। আর প্যাকেজ-২ এ এখন খরচ পড়বে জনপ্রতি ৫ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা। এ ছাড়া বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় কোরবানির খরচ ছাড়া হজ প্যাকেজের খরচ পড়বে ৫ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা।