ছবি ছাড়া বিকল্প পরিচয়পত্র তথা বায়োমেট্রিক ফিচার ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, ধর্ম সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, নির্বাচন কমিশন সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
রবিবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ইসলামী শরিয়ত মতে পর্দা করেন বলে জানিয়ে এক নারীর করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের শুনানি করেন আইনজীবী মাছুমা জামায়েল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন রাজধানীর শাহজাহানপুর শান্তিবাগের বাসিন্দা সুমাইয়া আহমাদ মুনা। রিট আবেদনে তার স্বামী মুহম্মদ আরিফুর রহমানকে অথরিটি (অনুমতি) দেওয়া হয়েছে।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন বরাবরে একটি আবেদন করে সুমাইয়া আহমাদ মুনা। সেখানে বলা হয়, তিনি প্রাপ্তবয়স্ক ও পর্দানশীন মুসলিম নারী এবং সম্মানিত দ্বীন ইসলামের শরীয়তের হুকুম আহকাম নিয়মিতভাবে পালন করে থাকেন। সে কারণে যেকোনো প্রকার ছবি তোলা থেকে বিরত থাকেন। ফলে তার পরিচয়পত্র নেই। কিন্তু পরিচয়পত্র না থাকায় নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তিনি। তাই ছবি ছাড়া বিকল্প ব্যবস্থায় জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে চান। তার আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়ায় হাইকোর্টে তিনি রিট করেন।
আইনজীবী মাছুমা জামায়েল জানান, রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছেন। রুলে ছবি ছাড়া বিকল্প পরিচয় তথা বায়োমেট্রিক ফিচার ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার জানান, এ আবেদনটাই সংবিধান পরিপন্থী। হজ করতে গেলেও ছবি তুলতে হয়। অ্যাকাউন্ট করতে গেলেও ছবি লাগবে। ছবি না দিলে উনার টাকা যদি অন্য কেউ নিয়ে যায়, এটার কী হবে। আর বায়োমেট্রিক করতে হলে চোখের আইরিশ লাগবে। তখন তো পর্দা ওঠাতে হবে। তখন কী হবে।