চলতি জুন মাসে বাংলাদেশি শ্রমিকরা মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবে বলে সুখবর জানিয়েছেন ঢাকা সফররত দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে তিনি মালয়েশিয়া সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। ওই জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে দাতুক সেরি এম সারাভানান মালয়েশিয়া দলের নেতৃত্ব দেন।
বাংলাদেশের শ্রমিকরা চলতি মাসেই মালয়েশিয়া ঢুকতে পারবেন-এমন আভাস দিয়ে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়ায় পাঠাতে হলে নির্দিষ্ট ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সি এবং ২৫০টি সাব-এজেন্টের মাধ্যমেই এই শ্রমিকদের মালয়েশিয়া আসতে হবে।”
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে এর আগে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।
সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, শ্রমিকদের খরচের মধ্যে রয়েছে পাসপোর্ট করা, মেডিকেল, কল্যাণ বোর্ড সদস্য ফি। অন্যদিকে বিমান ভাড়াসহ মালয়েশিয়া অংশের যাবতীয় খরচ বহন করবে নিয়োগদাতা।
এতে বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য মালয়েশিয়ার দুয়ার উন্মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখেছিল সরকার। তবে একমাস পর বাংলাদেশকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে এসব শ্রমিককে নির্বাচিত ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সি ও ২৫০টি সাব-এজেন্টের মাধ্যমে আসতে হবে। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী চিঠির উত্তরে সাফ জানিয়ে দেন, বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা আইন এবং আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী এ শর্ত গ্রহণযোগ্য নয়।
এর পরপরই জনশক্তি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস (বায়রা) প্রতিবাদ জানাতে সিন্ডিকেটবিরোধী মহাজোট গঠন করে। তারা মালয়েশিয়ার এজেন্ট নিয়োগের বিষয়টিকে সিন্ডিকেট বলে উল্লেখ করে সব রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য শ্রমবাজারটি উন্মুক্তের দাবি করে।
এতে মালয়েশিয়া সরকার বেঁকে বসে। ওইসময় দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান বৈঠকে যোগ দেওয়ার শর্ত হিসেবে উল্লেখ করেন। মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম মালয়েশিয়াকিনি’র খবরে বলা হয়, তার সফরের সময় কোনো বিক্ষোভ হলে রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা আরও কমানো হবে।