মার্চ ৩১, ২০২৩, ০১:৩৯ এএম
নওগাঁর ভূমি অফিসের কর্মী সুলতানা জেসমিনকে র্যাব তুলে নেওয়ার পর তাদেরই হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যুর আগে জেসমিনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোনো মামলা ছিল না। তাই জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে র্যাব হেফাজতে মৃত্যু ও মামলার প্রক্রিয়া নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
জেসমিন নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহকারী ছিলেন। গত ২২ মার্চ সকালে অফিসে যাওয়ার পথে নওগাঁ থেকেই তাকে আটক করে র্যাব-৫ এর রাজশাহীর একটি দল। র্যাব দাবি করছে, আটকের পরই অসুস্থ হয়ে পড়লে জেসমিনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু জেসমিনকে সকালে আটক করা হলেও নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে। ২৩ মার্চ বিকেলে রাজপাড়া থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রতারণার মামলা করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) এনামুল হক।
এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, “নওগাঁর ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের কথা যদি বলেন, তাহলে একটা কথা পরিষ্কার করে বলি, সেটা হচ্ছে যে এই ভদ্রমহিলাকে যখন তুলে নেওয়া, তখন কিন্তু তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মামলা ছিল না।”
আনিসুল হক আরও বলেন, “ভদ্রমহিলার অবশ্যই দুর্ভাগ্য ও ট্র্যাজেডি যে তিনি যখন মারা যান তখনও কিন্তু মামলা ছিল না। মামলা হয়েছে তারপর দিন। তাহলে ডিজিটাল সিকিউরিটি সিকিউরিটি অ্যাক্টের এখানে অপব্যবহার করা হয়েছে এবং মামলায় কোনো প্রসিড করা হয়নি।”