সেপ্টেম্বর ২, ২০২২, ০৩:৫৫ পিএম
টাঙ্গাইলে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ওপর উঠে গেল বাস। প্রাণ গেল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার স্ত্রীসহ দুইজনের। এ ঘটনায় আরও দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের সদর উপজেলার রাবনা বাইপাস এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন: গোপালপুরের বিলডগা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসা শিক্ষক সাইফুল ইসলাম (৫৫), ঘাটাইল উপজেলার হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা ও কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেনের স্ত্রী নুসরাত জাহান হিমু (৩০)।
শিক্ষক সাইফুল ইসলাম গোপালপুর উপজেলার চরচতিলা মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও উত্তর বিলডগা গ্রামের মৃত নঈম আলী মণ্ডলের ছেলে। তিনি চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ওই অটোরিক্সায় করে টাঙ্গাইল যাচ্ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নুসরাত জাহান হিমু তাঁর শাশুড়ি ফরিদা বেগমকে চিকিৎসক দেখানোর জন্য ঘাটাইল থেকে অটোরিকশাযোগে টাঙ্গাইল যাচ্ছিলেন। অপরদিকে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সাইফুল ইসলামও চিকিৎসক দেখাতে টাঙ্গাইলে যাচ্ছিলেন। ভাড়া করা অটোরিকশাটি ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহসড়কের রাবনা বাইপাস এলাকায় পৌঁছালে উত্তরবঙ্গগামী একটি যাত্রীবাহী বাস সেটির ওপর উঠে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই শিক্ষক সাইফুলের মৃত্যু হয়।
এ সময় গুরুতর আহত হন হিমু ও তাঁর শাশুড়ি ফরিদাসহ তিনজন। পরে স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। হিমুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে ঢাকার নেওয়ার পথেই হিমুর মৃত্যু হয়।
হিমুর চাচা আলতাব হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার হিমু পাকুন্দিয়া থেকে তাঁর শ্বশুর বাড়িতে এসেছে। শুক্রবার শাশুড়িকে চিকিৎসক দেখাতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেল।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. নবীন জানান, ঘাটাইল থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা যাত্রী নিয়ে টাঙ্গাইল যাচ্ছিল। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গাইবান্ধাগামী বাসের সাথে অটোরিকশাটির ধাক্কা লাগে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। বাসটির খোঁজ পাওয়া যায়নি।