নাশকতার মামলায় খুলনার সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি থেকে অব্যাহতি পাওয়া নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ ১৮জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মাধ্যমে প্রায় চারবছর পর মামলাটির বিচার কার্য শুরু হলো বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
মঙ্গলবার খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত এ চার্জ গঠন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপি নেতা মো. সাজ্জাদ আহসান পরাগ, মো. সাইফুল ইসলাম বকশী, জামায়াত নেতা এ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম পান্না, এসএম জাহাঙ্গীর আলম, মো. বাকার বকশী, মো. ফরহাদ বকশী, আবুল কালাম আজাদ, মো. আসলাম, আব্দুর রহিম চৌধুরী হেলাল, আব্দুল মজিদ গাজী, মোল্যা মাসাদুর রহমান, এম আকরাম হোসেন মোল্লা, কাজী নূর মোহাম্মদ নূর, সৈয়দ শামীম আহসান, শেখ মাবুবুর রহমান রতন, মো. বায়জীদ ও অহিদুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গ্রেনেড হামলার মামলায় আদালত তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের দিলে এর প্রতিবাদে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর রাত পৌনে ১১টার দিকে সোনাডাঙ্গা থানাধীন তেতুলতলা মোড়ে নাশকতা সৃষ্টির জন্য সমবেত হয় আসামিরা। এ সময় আসামিরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় একই দিন পুলিশের এসআই উজ্জ্বল সরকার বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখসহ নাম না জানা ১৪০/১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা এস আই হরষিৎ ২০১৯ সালের ২৭ জুলাই আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ওই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর চার্জশিট আমলে নেন আদালত। কয়েক দফা বিচারক বদলীর পর আজ (মঙ্গলবার) চার্জগঠনের মধ্যদিয়ে মামলাটির বিচার কার্য শুরু হল।
এদিকে,মামলার বিষয়ে নজরুল ইসলাম মঞ্জু গণমাধ্যমে বলেন, “রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক এসব মামলার কোনো ভিত্তি নেই। স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা থাকলে চার্জগঠনের পূর্বেই মামলাটি নিষ্পত্তিই হয়ে যেতো। এখন চার্জগঠন ও বিচারের নামে চলছে প্রসহন। এটা বিরোধী দল ও অন্য মতের নেতাকর্মীদের হয়রানি ছাড়া আর কিছুই না।”