নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে অন্য দেশ কী ভাবলো তাতে যায় আসে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ১০, ২০২৩, ০৯:৪৭ পিএম

নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে অন্য দেশ কী ভাবলো তাতে যায় আসে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে বিদেশিদের পরামর্শের দরকার নেই উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমরা একটা স্বচ্ছ ও সুন্দর নির্বাচন করব। অন্য দেশ কী ভাবলো তাতে আমাদের যায় আসে না। সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে সরকার বদ্ধপরিকর।”

বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেন। 

আসছে শুক্রবার রাজধানীতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দুই দিনব্যাপী ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলন (ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স-আইওসি) উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সম্মেলন উদ্বোধন করবেন।

বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান ফাউন্ডেশন যৌথভাবে ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলন (ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স-আইওসি) আয়োজন করছে।

 

সম্মেলনে মরিশাসের প্রেসিডেন্ট, মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রায় ২৫টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিসহ আরও দেড় শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন। সম্মেলনে ভারত, নেপাল, ভুটান ও সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা যোগ দেবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দল ভোট যার যার, যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার অঙ্গীকার করেছে, দেশে একটি স্বচ্ছ নির্বাচন করবে। এটি করতে যা যা দরকার তা আমরা করেছি। তবে স্বচ্ছ, সুন্দর নির্বাচনের জন্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি সব দলের কমিটমেন্ট থাকতে হবে যে, আমি একটা স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ নির্বাচন করব।” এটা সবাই নিশ্চিত করতে পারলেই একটি স্বচ্ছ, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব বলেও তিনি এসময় উল্লেখ করেন।

নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে অন্য দেশগুলোর পরামর্শের দরকার নেই উল্লেখ করে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, “বাংলাদেশ গণতন্ত্রের সূতিকাগার। বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা ৩০ লাখ লোক প্রাণ দিয়েছি। অন্যদের কাছ থেকে আমাদের শেখার কিছু নেই। বরং অন্যরা আমাদের থেকে শিক্ষা নেবে।”

আওয়ামী লীগ সবসময় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী  বলেন, গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে আমাদের বলিষ্ঠ প্রচেষ্টা রয়েছে। আর যদি কেউ অন্য দেশের কথা বলে, তাহলে তাদের ওই দেশের নাগরিকত্ব দিয়ে দেওয়ার কথাও বলেন মন্ত্রী।

এসময় তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে বিদেশিদের পরামর্শ আমাদের দরকার নেই। সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে সরকার বদ্ধপরিকর।”

নির্বাচনে বিভিন্ন দেশের ভোটের চিত্র তুলে ধরে ড. মোমেন বলেন, “ইউরোপের কোনো দেশে ৩০ শতাংশের বেশি লোক ভোট দেয় না। আর আমেরিকাতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ছাড়া ২৬ শতাংশের বেশি লোক ভোট দিয়েছে এমন নজির খুব কম। কিন্তু বাংলাদেশের নির্বাচনে ৭২ শতাংশের বেশি লোক ভোট দেয়।”

আইওসি সম্মেলন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, “আমরা আশা করছি যে এই সম্মেলনের মাধ্যমে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় অনেক সুপারিশ ও মতামত উঠে আসবে, যা এই অঞ্চলের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম এবং ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর মাশফি বিনতে শামস উপস্থিত ছিলেন। 

Link copied!