জানুয়ারি ১০, ২০২২, ০৪:৩৬ পিএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “পাকিস্তানি সেনারা বঙ্গবন্ধুকে সে দেশে নিয়ে বন্দি করে রাখে। কিন্তু তিনি সবসময় মুক্তিকামী মানুষের পাশে ছিলেন। তিনি সশরীরে আমাদের মধ্যে ছিলেন না, কিন্তু তিনি বাঙালির হৃদয়ে ছিলেন। তার ৭ মার্চের ভাষণ ধারণ করে বাঙালি জাতি যুদ্ধ করেছে।”
সোমবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তিনি তাঁর লক্ষ্য অর্জন করেছিলেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬ দফা, ৭০-এর নির্বাচন, ৭ মার্চের ভাষণ, সর্বশেষ আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের সর্বাগ্রে ছিলেন তিনি। তার ভাষণ মুক্তিকামী মানুষকে প্রেরণা জুগিয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “স্বাধীনতার পর যেদিন তিনি দেশে এলেন, দিনটি আমাদের জন্য কেমন ছিল তা ভাষায় বোঝাতে পারবো না। ১০ জানুয়ারি তিনি ফিরে আমাদের (পরিবার) কাছে আসেননি। তিনি সোজা চলে গেলেন তার প্রিয় জনতার কাছে।”
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, “১০ জানুয়ারির যে ভাষণ, তার মধ্যে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র কীভাবে চলবে তার দিকনির্দেশনা তিনি দিয়েছিলেন। তার এই ভাষণে বাংলা কেমন হবে তা উঠে এসেছিল।”
শেখ হাসিনা বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে যখন পাকিস্তানিরা মেরে ফেলতে চয়েছে, তখন তিনি বলেছেন আমাকে তোমরা মেরে ফেলতে পারো, কিন্তু আমার লাশটা বাংলার মাটিতে পৌঁছে দিও।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “হয়তো পাকিস্তানি কারাগারে তিনি অনেক অত্যাচারিত হয়েছেন, কিন্তু আমাদের কাছে কোনও কষ্টের কথা কখনও বলেননি। শুধু রেহানাকে একবার বলেছিলেন, তোদের শোনার দরকার নেই, তোরা সহ্য করতে পারবি না। এ থেকেই আমরা তার ওপর অত্যাচারের বিষয়টি বুঝতে পারি।”