পাবনা: এক কৃষককে হত্যার ঘটনায় ২১ জনের যাবজ্জীবন

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ৩১, ২০২২, ০৪:০৫ পিএম

পাবনা: এক কৃষককে হত্যার ঘটনায় ২১ জনের যাবজ্জীবন

পাবনায় এক কৃষককে হত্যার ঘটনায় ২১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ ২৪ বছর পর পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুরের কৃষক সালাম হত্যা মামলায় ওই শাস্তির আদেশ দেয় আদালত। এ ছাড়া আসামীদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার দুপুরে পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয় আদালত) আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান মুন্নী এ রায় ঘোষণা করেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে এসব তথ্য জানা যায়।

সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন: সদর উপজেলার ভাদুরীডাঙ্গী গ্রামের সোবহান মোল্লার ছেলে শাহজাহান মোল্লা, আব্দুল বাছেদ শেখের ছেলে মিনহাজ, শাকের মোল্লার তিন ছেলে ছেলে নবী শেখ, সুলতান মাহমুদ পক্ষী ও মোক্তার, মৃত ছোবা শেখের ছেলে বাছেদ শেখ, ইনাই খাঁর ছেলে আইয়ুব খাঁ, আমির মোল্লার ছেলে আসলাম, গফুর মোল্লার ছেলে লতিফ মোল্লা, রুস্তম মোল্লার ছেলে ছোবাই মোল্লা, বাহাই প্রামাণিকের ছেলে কালাম, আকুল মোল্লার ছেলে মহির মোল্লা, হাচেন মোল্লার ছেলে মোহাম্মদ আলী মোল্লা ও রেজাউল মোল্লা, গফুর মোল্লার ছেলে বাবু মোল্লা, সুজানগর উপজেলার চরভবানীপুর গ্রামের করিম মোল্লার দুই ছেলে মোকছেদ মোল্লা ও বারেক মোল্লা, মৃত বশির মোল্লার ছেলে করিম মোল্লা, ভবানীপুর কাছারি মাঠসংলগ্ন আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে খোকন, মানিকদিয়ার গ্রামের হবিবরের ছেলে রফিক এবং সদর উপজেলার কোলচুরি গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে বাবলু।

সাজাপ্রাপ্ত ২১ জনের মধ্যে বারেক, মিনহাজ, বাবলু, বাছেদ শেখ, লতিফ মোল্লা, ছোবাই পলাতক। এঁদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বাকি ১৫ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ৭ নভেম্বর আব্দুস সালাম কৃষিজমিতে কাজ করছিলেন। পূর্ব শত্রুতার জেরে ওই সময় আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁকে ঘিরে ধরে। সালাম দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে পেছন থেকে গুলি করা হয়। সালাম মাটিতে পড়ে গেলে তাঁকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় ২৪ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাই আবদুল জব্বার। পরের বছরে ১৯৯৯ সালের ১ আগস্ট ২৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ। তিনজন আসামির মৃত্যুর ফলে দীর্ঘ সাক্ষী ও শুনানি শেষে আজ ২১ আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হলো।

আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সনৎ কুমার সরকার এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী।

 

Link copied!