ডিসেম্বর ১০, ২০২১, ০৯:২২ পিএম
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা আবশ্যক।
আগামীকাল ১১ ডিসেম্বর ‘আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস-২০২১’ উপলক্ষে শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ১১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ ঘোষিত ‘আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব ও মানুষের অপরিকল্পিত ভূমি ব্যবহারের কারণে বিশ্বব্যাপী পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। একদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অতিবৃষ্টি, খরা, ঝড়-ঝঞ্ঝাট, অন্যদিকে বৃক্ষনিধনের মাধ্যমে বন উজাড়, দুইয়ের প্রভাবে পার্বত্য এলাকায় প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে।”
রাষ্ট্রপতি বলেন, “প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত পার্বত্য জেলাসমূহ ভ্রমণপিপাসু মানুষের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় গন্তব্যস্থল। পর্যটকরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে সে জন্য এ অঞ্চলে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে, যা এ অঞ্চলের জনগণের জীবনমান উন্নয়নে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবারের আন্তর্জাতিক পর্বত দিবসের প্রতিপাদ্য ‘পার্বত্য এলাকায় টেকসই পর্যটন’ এ প্রেক্ষাপটে যথার্থ হয়েছে।”
রাষ্ট্রপতি বলেন, “বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকার বৈচিত্র্যময় ভূ-প্রকৃতি, নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পার্বত্য অধিবাসীদের বর্ণিল কৃষ্টি-ঐতিহ্য কেবল বাঙালিদের নয়, বিশ্ববাসীকেও প্রবলভাবে আকর্ষণ করে। প্রকৃতির সঙ্গে বসবাস করে পার্বত্য এলাকার জনগণ যেমন জীববৈচিত্র্যকে সংরক্ষণ করছে তেমনি তারা পরিবেশ রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস পালনের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের অধিবাসীদের জীবন ও সংস্কৃতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে এবং পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের উন্নত ভবিষ্যৎ গঠনের মৌলিক উপাদানসমূহ নিশ্চিত হবে— এটাই সকলের প্রত্যাশা।”
তিনি আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস-২০২১’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।