জুলাই ১৮, ২০২৩, ০৩:৫২ পিএম
বগুড়ায় বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশের দাবি, বিএনপির পদযাত্রা থেকে হামলায় ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশের ছররা গুলিতে ২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের ইয়াকুবিয়ার মোড়ে এবং পরে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এখনো থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলছে। টিয়ার সেল ও ফাঁকাগুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করেছে পুলিশ। এ সময় পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর চালায় বিএনপি নেতারা। এ সময় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী বগুড়ার বনানী থেকে জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনার নেতৃত্বে পদযাত্রা শহরের দিকে আসে। পদযাত্রাটি শহরের ইয়াকুবিয়ার মোড়ে পৌঁছলে পেছনে থাকা নেতাকর্মীরা সাতমাথার দিকে যেতে চায়।
এতে পুলিশ বাধা দিলে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল এবং হাতে থাকা লাঠি নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশ পরিদর্শক তারিকুল ইসলামসহ ১০ জন আহত হন। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এর কিছুপর শহরের নবাববাড়ি সড়কে দলের কিছু নেতাকর্মী বিএনপি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ শুরু করে। সেখানে পুলিশ কয়েকটি টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে।
বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা দাবি করেন, পুলিশ তাদের নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। এতে অন্তত ২৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছে।
বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের ইয়াকুবিয়ার মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা করার কথা। পদযাত্রা নিয়ে সরাসরি সাতমাথায় যাওয়ার কোনো অনুমতি ছিল না। তারা পদযাত্রা নিয়ে সাতমাথা যেতে চাইলে বাধা দেওয়া হয়। এ সময় তারা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরে টিয়ারশেল ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। সেখান থেকে তারা নবাববাড়ি সড়কে সদর ফাঁড়িতে হামলা চালায় এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে।