রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বজুড়েই উৎপাদন ব্যাহত হয়। আর খাদ্যমূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে এবারের বাজেটেও থাকবে বিশেষ ব্যবস্থা। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে কৃষি খাতে (কৃষি, খাদ্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হবে। যা গত অর্থবছরের তুলনায় ৯ হাজার কোটি টাকা বেশি।
সারে ভর্তুকি বাড়বে
আগামী ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটে কৃষি খাতে ভর্তুকি বাড়তে পারে। চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের মূল বাজেটে কৃষি খাতে ভর্তুকি রাখা হয়েছিল ১৬ হাজার কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম বাড়ায় কৃষককে কিছুটা স্বস্তি দিতে সংশোধিত বাজেটে তা বাড়িয়ে ২৬ হাজার কোটি টাকা করছে সরকার। বিশ্বজুড়ে সার ও গ্যাসের দাম বাড়তি থাকায় এবারের সারের ভর্তুকি ২০ হাজার টাকা করা হতে পারে।
কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পে জোর
২০২০-২০২৫ মেয়াদে তিন হাজার ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যার আওতায় ১২ ক্যাটাগরিতে ৫১ হাজার ৩০০টি কৃষিযন্ত্র বিতরণ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের সুবিধা নিশ্চিত করতে একসঙ্গে ধানের চারা তৈরি, রোপণ ও কর্তনের জন্য সমলয়ে চাষাবাদ পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়েছে। তবে মেয়াদ শেষ হবার আগেই চলতি অর্থবছরই এই প্রকল্পের অধীনে কর্মসূচী দ্রুত করা প্রয়োজন বলে কৃষি মন্ত্রণালয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের বরাবর চিঠি প্রদান করে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপস ড. আব্দুস সাত্তার মন্ডল দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, কৃষিখাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু এই বরাদ্দ ঠিক কিভাবে দেখাচ্ছে সেটা ভাবার বিষয়। বেশিরভাগ সময়ে ভর্তুকি ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর অধীনে ফলে গবেষণা খাতে বরাদ্দ থাকছে না।
তিনি কৃষি খাতে ভর্তুকির পাশাপাশি গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধির পাশাপাশি বিপণনে জোর প্রদান করতে বলেন।
উল্লেখ্য ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে কৃষি খাতে (কৃষি, খাদ্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) ৩৩ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। গত অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ২৪ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ এবারের বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বেড়েছে ৯ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সারের ক্ষেত্রে আগামী অর্থবছরে ১৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেবে সরকার।