বাতাসের ‘অস্বাস্থ্যকর’ মান নিয়ে বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় পঞ্চম স্থানে অবস্থান করছে রাজধানী শহর ঢাকা। সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) এর রিপোর্টে এ তথ্য জানা গেছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বায়ু মানের সূচক (একিউআই) অনুযায়ী ঢাকায় বাতাসের মান ছিল ১৫৭। এই মাত্রাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়।
এর আগে গত ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে ঢাকার বায়ু ছিল ‘অস্বাস্থ্যকর’ বা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায়। প্রায় প্রতিদিনই দূষিত বায়ুর তালিকায় শীর্ষে ছিল বাংলাদেশের রাজধানী।
একই তালিকায় ১৬৬ স্কোর নিয়ে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। ১৬২ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দেশটির আরেক শহর পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা। ১৬০ স্কোর নিয়ে তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে কাজাখস্তানের আস্তানা। পাকিস্তানের লাহোর রয়েছে চতুর্থ স্থানে। শহরটিতে বাতাসের মান ছিল ১৫৯।
তথ্যমতে, সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২ দশমিক ৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ এর মধ্যে থাকলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ এরমধ্যে থাকলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এরমধ্যে থাকলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকায় বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোদায়ী। বায়ুদূষণের ফলে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালীর সংক্রমণ এবং বিষণ্নতার ঝুঁকি।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকালমৃত্যু ঘটে।