বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য ব্লিঙ্কেনকে বললেন মোমেন

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ৬, ২০২২, ০৯:৫৬ এএম

বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য ব্লিঙ্কেনকে বললেন মোমেন

গত সোমবার বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির দিনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়  বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এই আহবান জানান।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটে স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় শুরু হওয়া বৈঠকে ঢাকা-ওয়াশিংটনের ৫০ বছরের সম্পর্কের পর্যালোচনা, র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, খুনি রাশেদকে ফেরত, রোহিঙ্গা ইস্যু, জলবায়ু সংকট মোকাবিলাসহ বিভিন্ন ইস্যু স্থান পায়। বৈঠক শেষে মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের এক বিজ্ঞপ্তিতে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরা হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এর জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, “সামরিক বাহিনী থেকে জন্ম নেওয়া দলটি ছাড়া বাংলাদেশে সব দল নির্বাচনে আসে। তাদের নির্বাচনে আনা একটি চ্যালেঞ্জ। তাদের ভোটে নিয়ে আসুন।“

বৈঠকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) জবাবদিহি নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। অপরদিকে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা কোনো সুইচ নয় যে টিপ দিলেই অন কিংবা অফ হবে। এটা প্রত্যাহার একটা প্রক্রিয়াগত বিষয়।

 

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র অবকাঠামো খাতে তেমনভাবে বিনিয়োগ করেনি। আমি ওনাদের অনুরোধ করেছি এখানে যুক্ত হওয়ার জন্য। বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল ও আইটি খাতে তাদের বিনিয়োগের আহ্বান করেছি। ভ্যাকসিন সহায়তা করায় তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছি। রোহিঙ্গা গণহত্যার স্বীকৃতি দেওয়ায় তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছি।”

শ্রম অধিকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, তারা বাংলাদেশের শ্রম অধিকার আরও উন্নত করার সুপারিশ করেছেন। আমরা তাদের শ্রম অধিকার বিষয়ে বাংলাদেশে যেসব উন্নতি করেছে সেসব বিষয় সম্পর্কে জানিয়েছি। তাদের বলেছি, আমরা আইএলও এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে পরামর্শ করে শ্রম অধিকার খাতের উন্নয়ন করছি।”

খুনি রাশেদ চৌধুরীকে প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি আলোচনায় তোলা হয়েছে মোমেন বলেন, “বৈঠকে রাশেদ চৌধুরীর বিষয়টি তুলেছি। আমি বলেছি, একজন খুনিকে আশ্রয় দেওয়াকে আমেরিকান জনগণ পছন্দ করবে না। এটা নিয়ে আপনাদের চিন্তা করা উচিত। এ প্রক্রিয়াটি দ্রুত শেষ করার কথা বলেছি।”

ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, “আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি, অবাধ, উন্মুক্ত, অন্তর্মুখী এবং নিরাপদ ইন্দো-প্যাসিফিক চাই। আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই।”

বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিয়েছেন সেগুলো ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের আরেক বিজ্ঞপ্তিতে তুলে ধরেন দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস।

Link copied!