নভেম্বর ১, ২০২২, ১০:০৯ পিএম
বিএনপি'র গণতন্ত্র মানেই বিরোধীদের উপর অত্যাচার ও নির্যাতন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য এবং যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
মঙ্গলবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে খালেদা জিয়ার গণতন্ত্র: লাঠিপেটা ও টিয়ার মেরে আওয়ামী লীগের জনসভা পণ্ড করতো বিএনপি-জামায়াত সরকার শিরোনামে এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের পাঠকদের জন্য সজীব ওয়াজেদ জয়ের ওই পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
‘খালেদা জিয়ার গণতন্ত্র: লাঠিপেটা ও টিয়ার মেরে আওয়ামী লীগের জনসভা পণ্ড করতো বিএনপি-জামায়াত সরকার।
বিএনপি'র গণতন্ত্র মানেই বিরোধীদের উপর অত্যাচার ও নির্যাতন, এরকম হাজার টি ঘটনার একটি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
২০০১ সালে ক্ষমতায় যাওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর দমনপীড়ন চালাতে শুরু করে বিএনপি-জামায়াত সরকার। এমনকি কোনো শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বা কর্মসূচি পালন করতেও বাধা দিতো আওয়ামী লীগকে। এমনকি বিরোধীদের সমাবেশ পণ্ড করার জন্য জাতীয়তাবাদী বাস্তুহারা দলের ব্যানারে ছিন্নমূল সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে নাশকতামূলক হামলা এবং পুলিশকে দিয়ে টিয়ারসেল মারাতো সরকার।
২০০২ সালের ২৯ মার্চ জনকণ্ঠ পত্রিকার সংবাদে ছবিসহ এই নির্মম সংবাদ উঠে আসে। দেখা যায়, মুক্তাঙ্গণে আওয়ামী লীগের একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশে তিন দফা টিয়ার সেল মেরে কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এরমধ্যেই বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা। এরপর সেখানে বেধড়ক লাঠিপেটা করে সমাবেশে স্থান খালি করে পুলিশ সদস্যরা।
এসময় পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় ভাড়া করা ছিন্নমূল কিছু সন্ত্রাসী। বিএনপির হাওয়া ভবন সিন্ডিকেটের এক সংসদ সদস্যের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয়তাবাদী বাস্তুহারা দল নামে এই গুন্ডাদের সমন্বয় করা হয়। বিএনপি-জামায়াত গড ফাদারদের মাদক ব্যবসার ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করে এই ছিন্নমূল সন্ত্রাসীদের অংশটি।
পুলিশের বেপরোয়া টিয়ারের আঘাতে আহত হন মতিয়া চৌধুরী, সেগুফতা ইয়াসমিন, মারিয়া, লিপি, শিখা, হেলেন, মেয়র হানিফ. মোখরুসুর রহমান, আবদুস সাত্তারসহ ২০ জন নেতাকর্মী।’