বেটা
এপ্রিল ১২, ২০২২, ০৮:০৬ পিএম
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ এখনও ঝুঁকি সীমার আনেক নিচে রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই ধরা যাতে অব্যাহত থাকে তার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। খবর বাসস’র।
মঙ্গলবার গণভবনে অনুষ্ঠিত ‘অফশোর ট্যাক্স অ্যামেস্টি’ এবং ‘শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকটের পটভূমিতে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির পর্যালোচনা’ বিষয়ক উপস্থাপনা প্রত্যক্ষ করার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও অর্থ বিভাগ ‘অফশোর ট্যাক্স অ্যামেস্টি’ এবং ‘শ্রীলংকার অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সমস্টিক অর্থনীতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক উপস্থাপনা উপস্থাপন করে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের বড় কোন ঝুঁকির আশংকা নেই। বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমান এখনো ঝুঁকি সীমার অনেক নিচে রয়েছে। প্রায় সব সূচকেই বাংলাদেশের অর্থনীতি তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল অবস্থায় আছে এবং এ ধারা সামনের সময়ে অব্যহত রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ প্রদান করেন।
তবে, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি, খাদ্যপণ্য ইত্যাদি অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ‘আমদানিকৃত মুদ্রাস্ফীতি’ হিসেবে সৃষ্ট অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে একটি সমন্বিত রাজস্বনীতি ও মুদ্রানীতি বাস্তবায়নের উপর জোর দেওয়া হয় বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সভায় অন্যদের মধ্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম উপস্থিত ছিলেন।
-20241027115010.png)
-20241102183141.jpg)
