মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে বোমা রাখার আতঙ্কে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটি জরুরি অবতরণ করেছিল, তবে ফ্লাইটে কোনো বোমা ছিল না। এটি একটি গুজব ছড়ানো হয়েছে। গুজব ছড়ানোর কাজটি করেছে আলমগীর নামে এক ব্যক্তি।
তাকে আইনের আওতায় আনতে মালয়েশিয়ার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করছে এ দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একই সঙ্গে আলমগীরকে ইন্ধনকারীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা পেরেছে ফ্লাইটে বোমা আতঙ্কে খুদে বার্তা যে পাঠিয়েছে সেই আলমগীর মালয়েশিয়ায় থাকেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রগুলো জানায়, গত বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশি এক নাগরিক ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে ফোন করেন। মালয়েশিয়ার নম্বর থেকে কল করে ওই ব্যক্তি বলেন, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে ছেড়ে আসা মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের এমএইচ-১৯৬ ফ্লাইটটিতে তিনজন পাকিস্তানি নাগরিক রয়েছেন।
তারা বোমা বহন করছেন। পরে একই বিষয়ে তাঁকে মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠানো হয়। এরপর হোটেলের ওই কর্মকর্তা বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের জানান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানায়। ওই ফ্লাইটে পাকিস্তানি তিন নাগরিকের মধ্যে একজনের নাম আজিজুল ইসলাম বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু ফ্লাইটে আজিজুল ইসলাম নামের কোনো যাত্রী ছিলেন না। আরিজুল ইসলাম নামে এক বাংলাদেশি যাত্রী ছিলেন। পরে বোমাসহ পাকিস্তানের নাগরিকদের বিমানে থাকার ব্যাপারে যে তথ্য দিয়েছিলেন, তার সত্যতা পাওয়া যায়নি।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল কে এম আজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, তথ্যদাতা আলমগীরের উদ্দেশ্য কী, তার মদদদাতা কারা, এসবের পেছনে রাজনৈতিক কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না, তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খতিয়ে দেখছে।