বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর পবিত্র আশুরা আজ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ৯, ২০২২, ০১:৪২ এএম

বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর পবিত্র আশুরা আজ

আজ ১০ মহররম, বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর পবিত্র আশুরা। কারবালার শোকাবহ ও হৃদয়বিদারক ঘটনার এই দিনটি ধর্মীয়ভাবে বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের কোটি কোটি মুসলিম এ দিনটি পালন করবেন।  

আরবি হিজরী সন অনুসারে ১০ মহররম কারবালায় বিশ্ব নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র ইমাম হোসেনের শহাদাতের দিনটি সারা বিশ্বের মুসলমানরা ত্যাগ ও শোকের দিন হিসেবে পালন করেন।

পবিত্র আশুরা উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ পৃথক বাণী দিয়েছেন।

হিজরী ৬১ সনের ১০ মহররম (এই দিন) মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) ও তার পরিবার এবং অনুসারীরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ইরাকের ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন। কারবালার ঘটনা স্মরণ করে বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করে থাকে।

দেশের শিয়া সম্প্রদায় মহররম মাসের প্রথম ১০ দিন শোক স্মরণে নানা কর্মসূচি পালন করে। আশুরার দিনে তাজিয়া মিছিল বের করা হয় শোকের আবহে। মূলত ইমাম হোসেন (রা.)-এর সমাধির প্রতিকৃতি নিয়ে এই মিছিল হয়। আরবি ‘তাজিয়া’ শব্দটি শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করতে ব্যবহার করা হয়। রাজধানীর হোসেনি দালান ইমামবাড়ী থেকে তাজিয়া মিছিল বের করা হবে।

কোরআন, সুন্নাহ ও ইসলাম বিষয়ক মনীষীদের ভাষ্য মতে, পৃথিবীর শুরু লগ্ন থেকে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলআহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত বহু গুরুত্বপূর্ন ঘটনার অবতারনা হয়েছে এই  আশুরার দিনে। হযরত আদম আলাইহিস সালামের সৃষ্টি, আল্লাহ তায়ালার নিকট তাঁর তওবা গ্রহণ, হযরত নূহ আলাইহিস সালামের মহাপ্লাবন থেকে যুদি পাহাড়ে অবতরন, ফেরাউনের কবল থেকে হযরত মুসা আলাইহিস সালামের মুক্তি, হযরত আইউব আলাইহিস সালামের কুষ্ট রোগ থেকে আরাগ্য লাভ, এমনকি এই দিনে কিয়ামত সংগঠিত হওয়ার বর্ননাসহ অনেক কারণে এ দিবসকে মুসলিমরা গুরুত্ব দিয়ে ইবাদাত বন্দেগির মধ্যে অতিবাহিত করে থাকেন। এ দিনের রোজার অনেক সওয়াব।

হজরত আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলআহি ওয়া সাল্লামকে আশুরার রোজার ফজিলত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমি আল্লাহ তায়ালার নিকট আশা রাখি তিনি এই দিনের রোজার কারণে বিগত এক বছরের গুনাহ মা’ফ করে দিবেন। (মুসলিম, হাদিস : ১১৬২)।

Link copied!