মার্চ ৬, ২০২৩, ০২:৩৯ পিএম
মাহফিলে ওয়াজ শেষে রাতে ফেরার পথে ইসলামি বক্তার জিহ্ববা কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দিবাগত রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার আজমপুর এলাকায়। ভুক্তভোগীর নাম মাওলানা শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (৩৬)।
শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া বিজয়নগর উপজেলার শ্রীপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আরবি বিভাগের প্রভাষক। তিনি সদর উপজেলার চাপুইর গ্রামের মাওলানা আব্দুর রশিদ ভূঁইয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে বিজয়নগরের দৌলতবাড়ি এলাকায় মাহফিলে অংশ নেন মাওলানা শরিফুল। মাহফিলে তিনি ইসলামপন্থি আরেকটি দলের বিপক্ষে সমালোচনা করে বক্তব্য দেন। মাহফিল শেষে মধ্যরাতে পরিচিত জনের মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে আখাউড়া উপজেলার আজমপুর রেলস্টেশন এলাকায় এলে অজ্ঞাত কয়েক যুবক তাঁর মোটরসাইকেলটির গতিরোধ করে হামলা চালায়। এ সময় শরিফুলের জিহ্বা ও ঠোঁটের অনেকটা অংশ কেটে যায়। তা ছাড়া লাঠিসোঁটা দিয়ে তাঁকে মারধর করারও অভিযোগ ওঠে। এ সময় মোটরসাইকেলে মাওলানা শরিফুলের সাথে থাকা ওবায়দুল্লাহও (৩৪) আহত হন।
শ্রীপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক (আরবি) মাওলানা আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, দৌলতবাড়ি মাহফিলে শিয়াদের নিয়ে মাওলানা শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া বক্তব্য দিয়েছিলেন। মাহফিল শেষে এক ভাগ্নের মোটরসাইকেলে ফেরার পথে একদল যুবক তাঁর ওপর হামলা করে। তখন তিনি চিৎকার করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
আজাদ আরও জানান, এ ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার শ্রীপুর ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জোহরের নামাজের আগে মানববন্ধন করেছেন।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম বলেন, শরিফুল ইসলাম ইসলামপন্থি আরেকটি দলের বিপক্ষে বক্তব্য রাখায় বাড়ি ফেরার পথে তাকে হামলা করা হয়েছে– এমন খবর আমরা শুনেছি। তবে তার পক্ষে এখনও থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। তবে আমি তাঁর স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করে থানায় অভিযোগ দেওয়ার কথা বলেছি। তাঁরা জানিয়েছেন, শরিফুল ইসলাম ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমরা এ ব্যাপারে মামলা গ্রহণ করবো। তাঁর স্বজনরা আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। ওই বক্তাকে একদল যুবক চড়-থাপ্পড় মেরেছে। এ সময় তাঁর জিহ্বা কেটে গেছে। কী কারণে মেরেছে, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।