প্রায় ১১ বছর আগে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়ন শাখা যুবদলের এক নেতাকে গুলি করে হত্যা মামলায় সাত আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় আরও ১১ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩ জানয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের সাবেক সদস্য আজিজ মেম্বার ও তার ছেলে সবুজ, বিল্লাল হোসেন বিপ্লব, ইব্রাহিম, মানিক, ইসমাইল হোসেন এবং আবুল কাশেম মেম্বার। আদালতে শুধুমাত্র দণ্ডপ্রাপ্ত ইসমাইল ও আবুল কাশেম মেম্বার উপস্থিত ছিলেন। অন্যরা পলাতক রয়েছেন।
জেলা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করে বলেন, “ প্রত্যেকের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৩০২/১০৯ ধারায় অপরাধী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।”
নিহত যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন দত্তপাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত আবদুল বাতেনের ছেলে এবং প্রয়াত ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন শামীমের ছোটভাই। দত্তপাড়া ইউনিয়ন শাখা যুবদলের সভাপতি ছিলেন আনায়ার। তার ভাই চেয়ারম্যান শামীমও সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ার হোসেন ২০১১ সালের ৪ জুন দত্তপাড়া বাজারে তার ভাইয়ের নির্বাচনি অফিসে বসেছিলেন। এ সময় ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা নির্বাচনি অফিসে ঢুকে আনোয়ারের বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করে। পরে আনোয়ারের বড়ভাই মো. আশেক ই এলাহী ওরফে বাবুল বাদী হয়ে সদর থানায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।