রাজশাহী মেডিকেলে করোনায় কমেছে দৈনিক মৃত্যু

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী বিভাগে দৈনিক মৃত্যুসংখ্যা রবিবারের (১৫ আগস্ট) চেয়ে একটু কমেছে। তবে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। করোনা রোগীদের চাপ সামলাতে এখনও হিমশিম খাচ্ছে বিভাগের করোনা চিকিৎসার অন্যতম প্রধান চিকিৎসালয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল।পার্শ্ববর্তী অন্যান্য জেলা থেকেও করোনা রোগী ভর্তি হচ্ছেন এই হাসপাতালে।

সোমবার (১৬ আগস্ট) গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিট ও নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ১০ জন মারা গেছেন। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

সোমবার (১৬ আগস্ট) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো দৈনিক করোনা রিপোর্টে এসব তথ্য জানানো হয়। রবিবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে সোমবার (১৬ আগস্ট) সকাল ৮ টার মধ্যে তাদের করোনায় মৃত্যু হয় বলে রিপোর্টে বলা হয়। 

সোমবার (১৬ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো রামেক হাসপাতাল রিপোর্টে বলা হয় ‘হাসপাতালের করোনা ইউনিট ও আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে রাজশাহীর ২ জন, নাটোরের ৪ জন,নওগাঁর ৩ জন ও চুয়াডাঙ্গার ১ জন রয়েছেন। মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর ১ জন, নাটোরের ১ জন ও নওগাঁর ২ জন করোনা পজিটিভি শনাক্ত ছিলেন। নওগাঁর ১ জন নেগেটিভ শনাক্ত ছিলেন। মৃত অন্য ৫ জন করোনার বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে সন্দেহভাজন রোগী হিসেবে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

রিপোর্টে আরও বলা হয় ‘সোমবার (১৬ আগস্ট) গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ও এর উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছেন ৩২ জন। এনিয়ে সোমবার (১৬ আগস্ট)পর্যন্ত হাসপাতালে মোট ২৯৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে ও করোনার বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন। এদিন গত ২৪ ঘন্টায় ৩৯ জন রোগী হাসপাতাল ছেড়েছেন বলেও রিপোর্টে জানানো হয়।       

রামেক হাসপাতালের রিপোর্টে আরও বলা হয়, সোমবার (১৬ আগস্ট) পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি মোট ২৯৯ জন রোগীর মধ্যে রাজশাহীর ১৩৬ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৪ জন, নাটোরের ৪৬ জন, নওগাঁর ২৩ জন, পাবনার ৪৪ জন, কুষ্টিয়ার ৮ জন, চুয়াডাঙ্গার ১ জন, জয়পুরহাটের ১ জন, সিরাজগঞ্জের ১ জন, মেহেরপুরের ২ জন, বগুড়ার ১ জন রয়েছেন, দিনাজপুরের ১ জন ও টাঙ্গাইলের ১ জন রয়েছেন।

রিপোর্টে বলা হয়, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২৯৯ জন রোগীর মধ্যে করোনায় পজিটিভ শনাক্ত ১৬৬ জন, সন্দেহভাজন ৮৭ জন ও ৪৬ জন নেগেটিভ রোগী রয়েছেন। 

• বিষয় :
• মাইক্রোবাস