রাজধানীর সব প্রবেশমুখে শান্তি সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে এসেছে আওয়ামী লীগ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অনুমতি না মেলায় ক্ষমতাসীন দলটি কর্মসূটি পালন থেকে সরে আসে। তবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, কর্মসূচি থেকে সরে আসলেও দলের নেতাকর্মীরা ঢাকা মহানগরীতে সতর্ক প্রহরায় থাকবে।
গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি বিরত রাখব। তবে প্রতিটি থানা ওয়ার্ড কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা সতর্ক পাহারা দিবে।
আওয়ামী লীগের অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার হলেও ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের অবস্থান কর্মসূচি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত জানা যায়নি।
এর আগে, রাজধানীর সব প্রবেশমুখে শান্তি সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ। অন্যদিকে, রাজধানীর চার প্রবেশ পথ- আব্দুল্লাহপুর, টঙ্গী, গাবতলী ও আমিনবাজারে সকাল ১১টা থেকে শান্তি সমাবেশ করার ঘোষণা দেয় যুবলীগ।
বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি প্রতিহত করার ঘোষণা দেয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আওয়ামী লীগ। মহানগরীর প্রবেশমুখে শনিবার অবস্থান নেয়ার কথা জানিয়েছিল সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা। রাজধানীর ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, বাবু বাজার, শ্যামপুর, কমলাপুর অবস্থান নিয়ে শান্তি সমাবেশ করার কথা ছিল সংগঠনটির।
শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে দলীয় কর্মসূচি দিয়ে তা পালনের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। শনিবার (২৯ জুলাই) ঢাকার প্রবেশমুখে মুখোমুখি অবস্থানে কর্মসূচি পালন করার কথা জানায় দুই দল। ফলে এ নিয়ে নতুন করে চিন্তায় পড়েন সাধারণ মানুষ।
দুই দলের পাল্টাপাল্টি অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে রাতে ডিএমপির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে একটি বার্তা পাঠানো হয়। এতে দুই দলকেই অবস্থান কর্মসূচির অনুমতি না দেওয়ার বিষয়টি জানান ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
শুক্রবার রাতে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “তাদের কাছে শনিবার কর্মসূচি পালনের জন্য দুটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে আবেদন জমা পড়লেও তারা কোনো দলের পক্ষে সায় দেননি।”
খন্দকার গোলাম ফারুক আরও বলেন, “কাউকে কর্মসূচি পালনের কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। কেউ কর্মসূচি পালন করলে আইনানুগ ব্যবস্থা যা নেওয়ার, তাই করা হবে।”
এই অবস্থায় আওয়ামী লীগ সরে আসে তাদের দলীয় কর্মসূচি থেকে। তবে বিএনপি তাদের দলীয় কর্মসূচি পরিবর্তন করেছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি।