এপ্রিল ১৪, ২০২২, ০৩:৪৯ পিএম
ছাত্রীকে ‘যৌন নিপীড়নের’ অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষকে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিভাগের একাডেমিক কমিটি। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে তার নামে বরাদ্দ করা কক্ষ বাতিলসহ কয়েকটি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
গত ২৯ মার্চ বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় ড. বিশ্বজিৎ ঘোষের বিরুদ্ধে এ সব সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বাংলা বিভাগের সূত্রে জানা গেছে, গত মার্চ মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনেন একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী। পরে ওই ছাত্রী বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হকের কাছেও অভিযোগ দেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ মার্চ বিভাগটির অ্যাকাডেমিক কমিটির সভা ডাকা হয়। ওই সভায় বিশ্বজিৎ ঘোষের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা মেলে। ওইদিন দুপুরে অনুষ্ঠিত সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত বিবরণী অনুযায়ী, সভায় বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ ঘোষের বিরুদ্ধে একজন শিক্ষার্থীর আনা যৌন নিপীড়নের লিখিত অভিযোগটি উপস্থাপন করেন। এ সময় তিনি লিখিত অভিযোগপত্রটি অ্যাকাডেমিক কমিটির সভায় পাঠ করে শোনান।
বিবরণীতে বলা হয়, ওই সভায় অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ তার ভুল হয়েছে বলে মনে করেন। তিনি নিজের ভুলের জন্য অ্যাকাডেমিক কমিটির কাছে ক্ষমা চান। পরে অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষের বিরুদ্ধে অ্যাকাডেমিক কমিটি সর্বসম্মতভাবে চারটি শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ করেন।