দেশে শারদীয় দুর্গোৎসব চলাকালে কুমিল্লার একটি মন্দিরের পূজামণ্ডপে অপ্রীতিকর ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আজ (১৯ অক্টোবর) সারাদেশে ‘সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি শোভাযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে।
কর্মসূচি অনুযায়ি, মঙ্গলবার সকাল ১১টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি শোভাযাত্রা’ কর্মসূচি অনুস্ঠিত হবে। এছাড়া এই কর্মসূচির আওতায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো দেশের সব জেলা, মহানগর, উপজেলায় মঙ্গলবার ‘সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি শোভাযাত্রা’ আয়োজন করা হয়েছে । তাছাড়া আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃবৃন্দ সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন।
এর আগে, সোমবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দলীয় সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভা শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ওই সবায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চূয়ালি যুক্ত হন। এসময় তিনি দলের সব নেতাকর্মীকে দেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির তৎপরতা প্রতিরোধের নির্দেশ দেন।
আওয়ামী লীগের ওই সভায় যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশের হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য সমুন্নত রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ যখন মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ঠিক সে সময়ে একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক হানাহানি সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে।’
সরকার ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করেছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন,‘ ইতোমধ্যে অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছে এবং বাকিদেরও আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’ সরকার পরিস্থিতির ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখছে এবং এই ধরনের সন্ত্রাসী ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি. এম মোজাম্মেল হক, এস. এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।