মার্চ ৫, ২০২৩, ০৭:৩৫ পিএম
আসছে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই গাজীপুর, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার(ইসি) মো. আলমগীর।রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদেরেএক প্রশ্নের জবাবে তিনি তথ্য জানান।
ইসি মো. আলমগীর বলেন, “গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিলের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি আমাদের। যেটা আলোচনা হয়েছিল গাজীপুর, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে। মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে এসব সিটি করপোরেশনের নির্বাচন করতে হয়। ইচ্ছা করলে ৬ মাসে শেষ করা যায়। মাঝামাঝি করা যায়, আগেও করা যায়।” এসময় তিনি আরও বলেন, “যেহেতু আমাদের জাতীয় নির্বাচন আছে এ বছরের ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সেজন্য আমাদের চেষ্টা থাকবে এ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন শেষের দিকে না করে প্রথম দিকে করা। এজন্য সেটাই করবো।”
এসব নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ব্যাপারে তিনি জানান, গাজীপুরের ব্যাপারে শুধু ওইটুকু আলোচনা হয়েছে, তফসিল কবে এ ধরনের কোনো আলোচনা হয়নি।”
১১ মার্চ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর গাজীপুরে ভোটের সময় উল্লেখ করে ইসি মো. আলমগীর আরও বলেন, “ যে কোনো সময়ে নির্বাচন হতে পারে। সে হিসেবে যেহেতু জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে। সেজন্য নির্বাচনগুলো আগে করার চেষ্টা করবো। মার্চের পরে যে কোনো সময় নির্বাচন হতে পারে।”
গাজীপুর ছাড়া অন্য চার সিটির নির্বাচন একদিনে হবে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, “ ভোট একদিনে হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একদিনে হবে না। মোট ছয়টা সিটি আছে। তার মধ্যে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনেক দেরি। ওটাকে আমরা এর মধ্যে আনছি না। বাকি পাঁচটার ক্ষেত্রে হয়তো দুই দিনে হতে পারে। তিনদিনে হতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “ জুন মাসের মধ্যে দুটি সিটি ভোট করার ইচ্ছা আছে। তবে এখন পর্যন্ত দিন তারিখ ঠিক হয়নি। চূড়ান্ত কিছু হয়নি। যেগুলো আগে সময় গণনা শুরু হবে সেগুলো আগে হবে।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গাজীপুরে স্থানীয়ভাবে তফসিল ঘোষণার বিষয়টি উত্থাপন করা হলে মো. আলমগীর বলেন, “গাজীপুর নিয়ে আমরা (কমিশন) কোনো তফসিল ঘোষণা করিনি। জুনের আগে আগে দুই একটা সিটি ভোট হবে৷ বাকিগুলো জুনের পরে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে সিটি ভোট শেষ করবো।”
সিটি নির্বাচনে সিসি ক্যামেরার বিষয়ে তিনি বলেন,“ এগুলো নির্ভর করবে বাজেটের উপরে৷ আমরা বাজেট চাইবো। টাকা পাইলে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করবো। তবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার আগ্রহ আছে। এটাও ডিপেন্ড করবে। নতুন ইভিএম আসেনি। ইভিএমগুলোর ব্যাটারির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট করতে হবে। সার্ভিসিং করাতে হবে। সে জন্য টাকা লাগবে।”
তিনি বলেন, “সার্ভিসিং করিয়ে যদি সচল করতে পারি তার উপরে নির্ভর করবে কতগুলো ইভিএম ব্যবহার করবো। তবে কমিশনের ইচ্ছা ইভিএমে করা।”
প্রসঙ্গত, গাজীপুর সিটির পরবর্তী ভোটের সময় গণনা শুরু হবে ১১ মার্চ। ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। খুলনা ও রাজশাহী সিটির সময় গণনা শুরু হবে ১৩ এপ্রিল, ১০ অক্টোবরের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এছাড়া বরিশাল সিটি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হবে ১৪ মে, ভোট করতে হবে ১৩ নভেম্বরের মধ্যে। সিলেট সিটির নির্বাচন করতে হবে ৬ মে থেকে ৬ নভেম্বরের মধ্যে। আর ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচন করতে হবে ২০ ডিসেম্বর থেকে, আগামী বছরের ১৯ জুনের মধ্যে।