বেটা
অক্টোবর ৩১, ২০২১, ০২:২২ পিএম
চিত্রনায়িকা পরীমনির রিমান্ডে মঞ্জুরের বিষয়ে হাইকোর্টে ক্ষমা চেয়েছেন দুই বিচারক ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম। রবিবার (৩১ অক্টোবর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে ক্ষমা প্রার্থনা করে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করেন তারা।
দুই বিচারপতি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে এ ক্ষমা চাওয়ার আবেদন করেন। পরিমনির আইনজীবী জেড আই খান পান্না গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে, গত ২৪ অক্টোবর পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠানোর ঘটনায় দুই বিচারক দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলামকে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
২৯ আগস্ট সুপ্রিমকোর্টের রায় না মেনে পরীমনিকে বারবার রিমান্ডে নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের স্বপ্রণোদিত আদেশ প্রার্থনা করে একটি আবেদন করেন মানবাধিকার সংগঠন আইন ও শালিস কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন।
৩১ আগস্ট পরীমনিকে জামিন দেন বিচারিক আদালত। পরে ১ সেপ্টেম্বর কাশিমপুরের মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি মেলে পরীমনির।
পরে আইন শালিস কেন্দ্রের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ সেপ্টেম্বর পরীমনিকে দফায় দফায় রিমান্ড মঞ্জুরের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বিচারকদের কাছে ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট। পরীমনির মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন। এ ছাড়া পরীমনির বিরুদ্ধে বনানী থানায় করা মাদক মামলার সব নথি ও মামলার কেস ডকেটও তলব করা হয়।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠানো নিম্ন আদালতের দুই বিচারকের দাখিল করা ব্যাখ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেন, ‘লিখিত ব্যাখ্যায় তারা হাইকোর্টকে শিক্ষা দিয়েছেন। আমরা এ ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নই। বিচারকদের ব্যাখ্যায় হাইকোর্টকে আন্ডারমাইন (হেয়) করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বিচারক’।
ওই দিন পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠানো দুই বিচারক দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম আদালতের কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন।
-20241121105543.jpg)
-20241027115010.png)
