নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে মুক্তা বেগম নামে এক পোশাকশ্রমিকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে ঘরের ভেতর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার দেহ উদ্ধার করা হয়।ঘটনার পর থেকে ওই নারীর স্বামী সোহাগ পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, নিহত নারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার খড়মপুর গ্রামের খাঁ বাড়ির খোকন মিয়ার মেয়ে। স্বামীর সঙ্গে তিনি মিজমিজি এলাকার শহিদুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তাঁরা দুজনই পোশাককারখানার শ্রমিক।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, “ সোমবার দিবাগত রাতে মুক্তার খালাকে সোহাগ মুঠোফোনে তাঁর স্ত্রী হত্যার কথা জানান। পরে মুক্তার চাচার মাধ্যমে ঘটনাটি পুলিশকে জানানোর পর ঘরের তালা ভেঙে মুক্তা বেগমের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।”ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এই কর্মকর্তা আরও জানান, পারিবারিক কলহের জেরে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে মুক্তাকে হত্যার পর তালাবদ্ধ করে স্বামী সোহাগ পালিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।