আগস্ট ৪, ২০২২, ০৩:৪০ পিএম
বর্তমান সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে ‘ক্রন্দন নয়, সবাইকে জেগে ওঠার আহ্বান’ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে ছাত্রদল নেতা নুরে আলম হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জানাজায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেছেন মির্জা ফখরুল।
নুরে আলমের জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকে বিএনপির কয়েক হাজার নেতা-কর্মী দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমবেত হন। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে স্লোগান দেন তাঁরা। রাস্তা বন্ধ করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের জমায়েত ও বিক্ষোভ মিছিলের কারণে নয়াপল্টনের ভিআইপি রোডের এক পাশে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বক্তব্যের একপর্যায়ে বিএনপি মহাসচিব আজ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, আগামী ৫ থেকে ৭ তারিখ পর্যন্ত শোক পালন করার জন্য বিএনপি সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করবে, কালো পতাকা উত্তোলন করবে। ৬ আগস্ট ছাত্রদল ঢাকায় সমাবেশ করবে, ৭ আগস্ট কৃষকদল সমাবেশ করবে, ৮ আগস্ট যুবদলের উদ্যোগে সমাবেশ হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ। এরচেয়ে বেদনার, যন্ত্রণার আর কিছু নাই। আমাদের ছেলে নুরে আলমকে গুলি করে হত্যা করেছে এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পুলিশ বাহিনী। গুলি করে হত্যা করেছে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিমকে। আরও ১৯ জন ঢাকা ও বরিশালে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে নতুন নয়, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর একদলীয় শাসন পোক্ত করতে ১৫ বছর ধরে ছয়শো নেতাকর্মীকে গুম করেছে। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, এখন আর ক্রন্দন নয়, আমাদের জেগে উঠতে হবে। এই নির্যাতনকারী সরকারের হাত থেকে জাতিকে মুক্ত করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ হওয়া। শান্তিপূর্ণভাবে গণআন্দোলন শুরু করে নুরে আলম এবং রহিম হত্যার প্রতিশোধ নিতে হবে।
গত ৩১ জুলাই সারাদেশে লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভোলায় বিক্ষোভ পালনকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন ছাত্রদল নেতা নুরে আলম। পরে তাকে রাজধানীর গ্রিনরোড কমফোর্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার (৩ আগস্ট) তিনি মারা যান।