জুলাই ১, ২০২২, ০৯:২৪ পিএম
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেছেন, “হোলি আর্টিজানের ঘটনার পরে ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে কোন বিদেশি টেকনিশিয়ান-ইঞ্জিনিয়ার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশে আসত না। ফলে আমরা পদ্মা সেতু কিংবা মেট্রোরেল বাস্তবায়ন করতে পারতাম না।”
শুক্রবার দুপুরে গুলশান পুরাতন থানার সামনে জঙ্গি হামলায় নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তার স্মরণে নির্মিত ভাস্কর্য ‘দীপ্ত শপথ’-এ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল ইসলাম বলেন, “জঙ্গি দমনে আমরা আত্মতৃপ্তিতে ভুগছি না। কারণ এখনো জঙ্গি তৎপরতা মাঝে মাঝে চোখে পড়ছে। জঙ্গিদের সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভিটিসহ সকল বিষয়ে আমরা মনিটরিং করি।”
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “বাংলাদেশে হরকাতুল জিহাদের মধ্যে দিয়ে জেএমবির উত্থান হয়। পরে ইরাকে যখন আইএসের উৎপাত শুরু হয়। তখন বাংলাদেশের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য বাংলাদেশের কিছু মানুষ তামিমের নেতৃত্বে হলি আর্টিজানে হামলা করে। হলি আর্টিজানের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর থেকেই বাংলাদেশ পুলিশ জঙ্গি দমনে নতুন একটি ইউনিট খোলা হয়। এই ইউনিটের অধিকাংশ সদস্যই ইউএস সরকারের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হন। এ ছাড়া ইউএস সরকারের পক্ষ থেকে অস্ত্র এবং প্রোটেকশনের রিক্রুটমেন্ট দেয় বাংলাদেশকে। ইউএস সরকারের পক্ষ থেকে এই রিকোয়ারমেন্ট পাওয়ার পর থেকেই আপনারা লক্ষ্য করেছেন চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম মৌলভীবাজার খুলনা বিভাগের বিভিন্ন স্থানসহ দেশের যেসব জায়গায় জঙ্গিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছে। সেই সময়কার জঙ্গিদের আস্তানা তছনছ করে দেওয়া হয়েছে।”