আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে রমজান মাসের আগে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম আরেক দফা বাড়িয়েছে সরকার। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলে দুই টাকা এবং বোতলজাত তেলে চার টাকা করে বাড়ানো হয়েছে।
এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করে নতুন দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক বিষয়ক জাতীয় কমিটির সভায় তেলে দাম পুননির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয় বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে খোলা সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ দাম ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগে ছিলো ১১৫ টাকা। এছাড়া বোতলের সয়াবিন তেলের লিটারপ্রতি সর্বোচ্চ দাম ১৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগে ছিল ১৩৫ টাকা।
অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন পরিবেশক নিয়োগ আদেশ-২০১১ অনুযায়ী গঠিত জাতীয় কমিটিতে ভোজ্যতেলের মূল্য ও সরবরাহ বিষয়ে আলোচনা হয়। সেখানে বিস্তারিত নিরীক্ষার পর অভিন্ন মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুযায়ী প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের মূল্যের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এক লিটার খোলা সয়াবিন মিলগেটে ১১৩ টাকা, ডিলারের কাছে ১১৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
১ লিটারের বোতলজাত সয়াবিনের দাম মিলগেটে ১২৭ টাকা, ডিলারের কাছে ১৩১ টাকা, সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৩৯ টাকা নির্ধারিত হয়।
৫ লিটারের বোতলজাত তেলের দাম মিলগেটে ৬২০ টাকা, ডিলারের কাছে ৬৪০ টাকা এবং সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৬৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়াও এক লিটারের পামতেল খোলা (সুপার) তেলের দাম মিলগেটে ১০৪ টাকা, ডিলারের কাছে ১০৬ টাকা এবং সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১০৯ টাকা নির্ধারিত হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের মূল্যে অস্থিতিশীলতা থাকায় আন্তর্জাতিক বাজার অনুযায়ী স্থানীয় মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।