রোজা শুরুর আগেই বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। লেবুর হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় আরও রয়েছে বেগুন, শসা, ধনেপাতা, পেঁয়াজ ও চিনি। এর সবই মূলত ইফতারি তৈরির উপাদান। আর সাহ্রিতে যাঁরা মুরগির মাংস খেতে পছন্দ করেন, তাঁদেরও আগের চেয়ে বেশি ব্যয় করতে হবে। এমনিতেই মাস দুয়েক ধরে বাজারে বেশির ভাগ নিত্যপণ্যের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী। এর মধ্যে নতুন করে কিছু পণ্যের দাম আবার বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের কষ্ট আরও বাড়বে।
রাজধানীর বাজারে এক কেজি লম্বা বেগুন ৪০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। শসা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া ধনেপাতার দাম বিক্রেতারা নিচ্ছেন ৭০ টাকা। আর কেজিতে ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হয়েছে দেশি পেঁয়াজ (প্রতি কেজি ৩৫ টাকা)
খোলা চিনির দামও কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮৪ টাকায়। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে সোনালিকা (কক) মুরগি ও গরু মাংসের দাম আরেক দফা বেড়েছে। সোনালিকা মুরগি প্রতি কেজি ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগেও সোনালিকা ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। আর গরুর মাংসের দাম ছিল প্রতি কেজি ৬২০ টাকা। এখন ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
স্বস্তির খবর হচ্ছে, সরকারের বেঁধে দেওয়া দরে বোতলজাত সয়াবিন তেল বাজারে আসতে শুরু করেছে। তবে এখনো সব দোকানে নতুন দরের ১ লিটার ও ২ লিটার তেলের বোতল পাওয়া যাচ্ছে না। বেশির ভাগ দোকানে বিক্রি হচ্ছে শুধু ৫ লিটার তেলের বোতল। প্রতি লিটার বোতলজাত তেলের দাম ১৬০ টাকা এবং ৫ লিটারের দাম ৭৬০ টাকা বেঁধে দিয়েছে সরকার। উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী রোববার বা সোমবার পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে। রোজার আগেই কিছু পণ্যের দাম আরেক দফা বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, সরবরাহ কম-বেশি হওয়ার কারণে দামের পার্থক্য হতে পারে। বাজার নিয়ন্ত্রণে দিনরাত কাজ চলছে। সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।