বেটা
জুলাই ২৪, ২০২৫, ১২:০২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
সব স্তরের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা কী ধরনের পোশাক পরতে পারবে না, তা নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, কর্মক্ষেত্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পোশাক নিয়ে জারি করা সার্কুলারটি “পরামর্শমূলক”। এই সার্কুলারের মাধ্যমে অতিশয় কারুকার্যপূর্ণ পোশাককে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এই সার্কুলারের মাধ্যমে অফিসে কারো পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা খর্ব হবে না।
বুধবার, ২৩ জুলাই দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত বিভিন্ন বয়সী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বয়সের পার্থক্যজনিত কারণে পুরুষ ও নারী উভয় সহকর্মীদের মধ্যে পোশাকের বৈচিত্র্য পরিলক্ষিত হয়। পোশাকের ধরনের নানা পার্থক্য হেতু নারী-নারী ও পুরুষ-পুরুষ সহকর্মীদের মধ্যে মানসিক বৈষম্য দূর করে পারস্পরিক বোঝাপড়া (বন্ডিং) আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যে অফিসে পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে আলোচ্য সার্কুলারটি জারি করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এটা একটি পরামর্শমূলক সার্কুলার। নারী সহকর্মীদের বোরকা ও হিজাব পরিধানের ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা বা নির্দেশনা আরোপ করা হয়নি।
এই সার্কুলারের মাধ্যমে অতিশয় কারুকার্যপূর্ণ পোশাককে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিবৃতিতে বলা হয়, “আশা করি এই সার্কুলারের মাধ্যমে অফিসে কারও পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা খর্ব হবে না।”
এর আগে গত ২১ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ-২ থেকে পোশাক সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নারী কর্মকর্তা–কর্মচারীদের শাড়ি, সালোয়ার–কামিজ ও ওড়না এবং অন্যান্য পেশাদার শালীন পোশাক পরার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ওই নির্দেশনায় নারীদের ফরমাল স্যান্ডেল বা জুতা, সাদামাটা হেডস্কার্ফ বা হিজাব পরতে বলা হয়েছে। নারী কর্মকর্তা–কর্মচারীদের শর্ট স্লিভ ও লেংথের ড্রেস অর্থাৎ ছোট হাতা ও ছোট দৈর্ঘ্যর পোশাক ও লেগিংস পরিহার করতে বলা হয়েছে।
পুরুষদের পোশাকের ক্ষেত্রে লম্বা বা হাফ হাতার ফরমাল (আনুষ্ঠানিক) শার্ট ও ফরমাল প্যান্ট পরতে বলা হয়েছে। পরিহার করতে বলা হয়েছে জিনস ও গ্যাবার্ডিন প্যান্ট।
নির্দেশনা না মানলে কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
