প্রস্তাবিত বাজেট ‘বাস্তবসম্মত’ ও ‘বাস্তবায়নযোগ্য’: এফবিসিসিআই সভাপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুন ৮, ২০২৪, ১০:২২ এএম

প্রস্তাবিত বাজেট ‘বাস্তবসম্মত’ ও ‘বাস্তবায়নযোগ্য’: এফবিসিসিআই সভাপতি

মতিঝিলে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. মাহবুব আলম। ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

আগামী অর্থ বছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে সরকার। এ অবস্থায় দেশের জনগণের চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বাজেটের এই আকার ‘বাস্তবসম্মত’ ও ‘বাস্তবায়নযোগ্য’ বলে জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।

শনিবার (৮ জুন) রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই আইকন ভবনে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটউত্তর এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, “দেশের জিডিপির আকার ও অর্থনীতির পরিকাঠামো বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাজেটের আকারও প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বিগত কয়েক বছরে যেখানে প্রায় ১০-১২ শতাংশ হারে বাজেট বাড়ানো হয়েছে, এবার বাড়ানো হয়েছে ৫ শতাংশেরও কম (৪ দশমিক ৪২ শতাংশ)।”

তিনি আরও বলেন, “বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য দরকার সুশাসন ও যথাযথ মনিটরিং। বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দক্ষতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও তদারকির মান ক্রমাগতভাবে উন্নয়নের জন্য সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনা ও পরিকল্পনা নিশ্চিত করা জরুরি। এছাড়া বাজেটে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি খাতের অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করতে হবে।”

মাহবুবুল আলম বলেন, “বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ছয় দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি অর্থ বছরের জন্যও বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। কিন্তু চলতি বছর মে মাসে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ।”

এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, “এই মূল্যস্ফীতির হারকে কমিয়ে এনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা বিশাল চ্যালেঞ্জ বলে আমরা মনে করি। মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বগতির লাগাম টেনে ধরতেই হবে। তা না হলে সাধারণ মানুষের কষ্ট ও ভোগান্তি বাড়বে।”

তিনি জানান, “ভূ-রাজনৈতিক ও পারিপার্শ্বিক কারণে আমাদের অর্থনীতিতে এমনিতেই বিরুপ প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রার উচ্চ বিনিময় হার, ঋণের সুদের হার, মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রভৃতি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাজেট বাস্তবায়নের সর্বাত্মক চেষ্টা গ্রহণ করতে হবে।”

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, “প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা যা জিডিপির ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। জাতীয় বোর্ডের লক্ষ্য ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। অন্যান্য খাত থেকে আসবে ৬৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এই বিশাল রাজস্ব সংগ্রহ করা হবে সরকারের জন্য একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। এমনিতেই দেশের সামরিক অর্থনীতির সূচকসহ রাজস্ব আহরণ প্রক্রিয়া বিশ্বব্যাপী বিরাজমান কঠিন পরিস্থিতির কারণে চাপের মুখে।”

ব্যবসায়ী নেতা মাহবুব বলেন, “লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায়ে ব্যবসা-বাণিজ্যবান্ধব রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংস্কার জরুরি। সেই সঙ্গে ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও বৃদ্ধির জন্য করের আওতা বাড়ানো এবং উপজেলা পর্যন্ত কর অফিস বিস্তৃত করা প্রয়োজন।”

Link copied!