আগস্ট ১৪, ২০২৩, ০৮:৪৪ পিএম
সৌদির দক্ষতার পরীক্ষা দেওয়ার জন্য জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছয়টি সেন্টার অনুমোদন পেয়েছে। এগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ কোরিয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিকেটিটিসি) ঢাকা ও চট্টগ্রাম এবং রাজশাহী, বরিশাল, কুমিল্লা ও টাঙ্গাইলের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)। তবে যেহেতু সৌদিতে অনেক বেশি লোক যায় তাই আমরা সেন্টার বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছি। কারণ, এখন আর যেকোনো ভাবে সৌদি যাওয়া যাবে না। দক্ষতা যাচাই করে সনদ নিয়ে যেতে হবে। আমরা আরও বলেছি সনদ দেখে ভিসা দেয়ার জন্য। যেন এটার দায় অন্য কারও ঘাড়ে না যায়।
সোমবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে অবস্থিত বিএমইটি ভবনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম।
এ সময় তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবে আগে পাঁচটি খাতে বিদেশিদের কাজ করতে হলে সে দেশের সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও ২৮ পেশা। এখন থেকে এই ৩৩ পেশায় কাজ করতে সৌদি আরব যেতে হলে পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে সৌদি সরকার। সম্প্রতি ঢাকার সৌদি দূতাবাস এক চিঠিতে এ কথা আমাদের জানিয়েছে।
সৌদি দূতাবাস প্রাপ্ত চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, স্কিল ভেরিফিকেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে দক্ষতা আছে কিনা ভেরিফাই করে যেতে হবে। সম্প্রতি ভারত এবং পাকিস্তানেও একই ভেরিফিকেশন প্রোগ্রাম চালু করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে এই খাতগুলোতে দক্ষ জনশক্তি পাঠানোর জন্য একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। যার অধীনে বাংলাদেশিদের পরীক্ষা দিয়ে সনদ নিয়ে সৌদি আরবে কাজ করতে যেতে হবে। প্রথমে শুরু করা পাঁচ খাত হচ্ছে প্লাম্বার, ওয়েল্ডিং, অটোমোবাইল, ইলেকট্রিশিয়ান ও এসি মেকানিক। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ১৫ ধরণের নির্মাণ কাজ, পাঁচ ধরনের টাইলিং, চার ধরণের গাড়ি মেরামত, প্লাস্টার কাজ এবং তিন ধরনের গাড়ির মেকানিক। এসব কাজে যেতে হলে পরীক্ষা দিয়ে সনদ নিয়ে যেতে হবে।’
মো. শহীদুল আলম বলেন, ‘গত ফেব্রুয়ারিতে সৌদি দূতাবাসে স্কিল ভেরিফিকেশন প্রোগ্রাম উদ্বোধন করা হয়। অদক্ষ শ্রমিকদের বেতন যদি ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ রিয়াল হয়ে থাকে, তাহলে ওই দক্ষ শ্রমিকদের বেতন হবে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ রিয়াল। ফলে ওই পাঁচ খাতে সনদ নিয়ে কাজ করতে গেলে তাঁরা বেশি আয় করতে পারবেন বলে জানায় সৌদি দূতাবাস। এই পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বিএমইটি ও সৌদি সরকারি সংস্থা তাকানলের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে। এ জন্য গমনেচ্ছুদের কোনো টাকা দিতে হবে না। একজন বাংলাদেশি যতবার ইচ্ছা, ততবার পরীক্ষা দিতে পারবেন। পরীক্ষা দিয়ে সনদ পাওয়ার পর এর মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। প্রথাগত শ্রমিকদের এ ধরনের কোনো পরীক্ষা দেওয়া লাগবে না।’