ইউরোপে পোশাক রফতানি বাড়লেও কমেছে যুক্তরাষ্ট্রে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩, ০৬:৩৮ পিএম

ইউরোপে পোশাক রফতানি বাড়লেও কমেছে যুক্তরাষ্ট্রে

২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি- এই সাত মাসে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাড়লেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কমেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে পোশাক রফতানি ১১.৯৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ১৫ দশমিক ০৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৩.৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। উল্লেখিত সময়ের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানি ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৪ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল।

ইপিবির তথ্যানুসারে, ইউরোপের বৃহত্তম বাজার, জার্মানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় মাত্র ০ দশমিক ৮৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ আমদানি করেছে ৪.০৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। স্পেন এবং ফ্রান্সেও রফতানি বেড়েছে যথাক্রমে ১৮ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং ১৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

অন্যান্য প্রধান ইইউ দেশ, যেমন ইতালি, অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডস এবং সুইডেনে রফতানি যথাক্রমে ৫৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, ৩২ দশমিক ৯৩ শতাংশ, ৩২ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং ২৩ দশমিক ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

অন্যদিকে, উল্লিখিত সময়ে পোল্যান্ডে পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানিতে ১৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

উল্লেখিত সময়ের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানি ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ২০২২-২৩ সালের জুলাই-জানুয়ারিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রফতানি ৪ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।

অন্যদিকে, আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যুক্তরাজ্য এবং কানাডায় দেশের রফতানি যথাক্রমে ১৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং ১৯ দশমিক ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখিত সময়ের মধ্যে অপ্রচলিত বাজারে রফতানি ৩ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ৪.৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।

প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে, জাপানে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারিতে বাংলাদেশের রফতানি ৯২০ দশমিক ২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। উচ্চ প্রবৃদ্ধিসহ অন্যান্য অপ্রচলিত বাজারগুলো হলো মালয়েশিয়া ৯২ দশমিক ৭৭ শতাংশ, মেক্সিকো ৪২ দশমিক ৭০ শতাংশ, ভারত ৫৮ শতাংশ, ব্রাজিল ৬৪ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়া ৩৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

Link copied!