গত বছর সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৪৩ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ১৬, ২০২২, ১২:১৩ এএম

গত বছর সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৪৩ শতাংশ

২০২০-২০২১ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন রিপোর্টিং (এসটিআর) ও সন্দেহজনক কার্যক্রম রিপোর্টিং (এসএআর) বেড়েছে ৪৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) বার্ষিক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বিএফআইইউ'র প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে এসটিআর ও এসএআর ছিল ৩ হাজার ৬৭৫টি। পরের অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৮০টিতে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স রুমে আয়োজিত প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএফআইইউয়ের প্রধান মাসুদ বিশ্বাস। সভায় উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র  সিরাজুল ইসলাম, বিএফআইইউয়ের প্রোগ্রামার ইফতেখার মাহমুদ এবং যুগ্ম-পরিচালক  ইকরামুল হাসান প্রমুখ।

বিএফআইইউয়ের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, অবৈধভাবে যত অর্থ লেনদেন হয়েছে, তার বেশিরভাগই হয়েছে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে। অন্যান্য মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের পরিমাণ অতি নগণ্য।

প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা ও সচেতনতা বাড়ায় এসটিআর ও এসএআর বেড়েছে বলে জানিয়েছেন মাসুদ বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে। তবে এটি শুধু দুর্নীতি বাড়ার কারণে হয়েছে তা নয়, এ বিষয়ক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সচেতনতা বৃদ্ধির কারণেও বেড়েছে।’

বিএফআইইউয়ের প্রধান বলেন, ‘এ বছর আমরা বিএফআইইউয়ের ২০ বছরপূর্তি উদযাপন করতে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমাদের মানিলন্ডারিং ব্যবস্থা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। তথ্য প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে ব্যবসা এবং ঝুঁকির ধরন পাল্টেছে। আমরাও বিভিন্নভাবে সমৃদ্ধ হয়েছি।’

তিনি জানান, আমরা যেসব সন্দেজনক লেনদেন চিহ্নিত করি, তার ২৬ দশমিক এক শতাংশ তথ্য আসে গণমাধ্যম থেকে। গত ৭ মার্চ বিএফআইইউয়ের স্বতন্ত্র ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হয়েছে, যেখানে পরিচয় গোপন করে যে কেউ অভিযোগ করতে পারবেন। সেটাকে গুরুত্ব সহকারে দেখবে বিএফআইইউ।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমরা কানাডার বেগমপল্লী, মালয়েশিয়া এবং পিকে হালদার ইস্যু নিয়ে কাজ করেছি এবং এ বিষয়ে যথাযথ সংস্থাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।

Link copied!