পাঁচটি প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সোয়া দুই বিলিয়ন বা ২২৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এ লক্ষে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে।
স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাসের উপস্থিতিতে এ চুক্তি সই হয়।
আঞ্চলিক বাণিজ্য ও কানেকটিভিটি, দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং পরিবেশগত ব্যবস্থাপনার উন্নয়নসহ পাঁচটি প্রকল্পে ঋণেদেবে সংস্থাটি।
প্রকল্প পাঁচটি হলো-
১. আঞ্চলিক বাণিজ্য, পরিবহন ও কানেকটিভিটি বাড়াতে সাহায্য করার লক্ষে ‘অ্যাকসিলারেটিং ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ট্রেন ইস্টার্ন সাউথ এশিয়া প্রোগ্রাম পেইজ-১’ এর আওতায় ৭৫৩ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্প।
২. অভ্যন্তরীণ বন্যা ও দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতিতে সহায়তা করতে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের ‘রেজিলিয়েন্স ইনফ্রাসট্রাকচার বিল্ডিং প্রকল্প’। এটি ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়নে প্রথম বড় বিনিয়োগ প্রকল্প। এটি অভ্যন্তরীণ
৩. ৫০০ মিলিয়ন ডলারের প্রথম বাংলাদেশ সবুজ ও জলবায়ু সহিষ্ণু উন্নয়ন প্রকল্প। এটি দেশকে সবুজ ও জলবায়ু সহনশীল উন্নয়নে সহায়তা করবে।
৪. ক্ষুদ্র শিল্প সেক্টরকে আরও গতিশীল, কম দূষণকারী, দক্ষ এবং জলবায়ু সহনশীল প্রবৃদ্ধির খাতে রূপান্তর করতে নেওয়া ২৫০ মিলিয়ন ডলারের সাসটেইনেবল মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্ট ট্র্যান্সফরমেশন (স্মার্ট) প্রকল্প।
৫. ২৫০ মিলিয়ন ডলারের বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবলিটি অ্যান্ড ট্র্যান্সফরমেশন প্রকল্প। এ প্রকল্প পরিবেশ ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করতে এবং সবুজ বিনিয়োগে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করতে সহায়তা করবে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগদান উপলক্ষে ওয়াশিংটন সফরে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরআগে, জাপানে দ্বিপক্ষীয় সফর শেষ করেন সরকারপ্রধান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের আমন্ত্রণে তার সিংহাসনে আরোহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ওয়াশিংটন থেকে লন্ডন যাবেন প্রধানমন্ত্রী। আসছে ৯ মে লন্ডন থেকে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ফেরার কথা রয়েছে।