তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসতে চায় মন্ত্রণালয়

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫, ০৭:৪৩ পিএম

তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসতে চায় মন্ত্রণালয়

ছবি: সংগৃহীত

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এজন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সোমবার সন্ধ্যায় তিতুমীর ক্যাম্পাসে অবস্থান করছিলেন মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা।

এসব কর্মকর্তা যখন ক্যাম্পাসে আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে যান, তখন দাবি আদায়ে মহাখালী রেলক্রসিংয়ে সড়ক ও রেলপথ আটকে অবস্থান করছিলেন তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা। আর তিতুমীর ক্যাম্পাসের ফটকে চলছিল ‘আমরণ অনশন’। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের (কলেজ শাখা) যুগ্মসচিব নুরুজ্জামান বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান করছি।

“বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত। এর বাইরে আমরা অন্যান্য দাবির বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করব।”

তিনি বলেন, “সরকার বারবার জানিয়েছে, তিতুমীরকে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবি মানার সুযোগ এই মুহূর্তে নেই। কিন্তু তারা বুঝতে চাচ্ছেন না। সড়ক আটকে আন্দোলন করে দাবি-দাওয়া আদায়ের অবস্থা এখন নেই।”

তিতুমীর কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জুলকারনাইন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ক্যাম্পাসে এসে আমাদেরকে আলোচনায় বসার কথা বলছেন।

“তবে আমরা সড়ক ও রেলপথ ছেড়ে সেখানে যাব না। তারা মহাখালী রেলক্রসিংয়ে এসে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করুক।”  

এর আগে বিকাল ৪টার দিকে মহাখালী রেলক্রসিংয়ে জাহাঙ্গীরগেটের দিকে যাওয়া সড়কের দুই পাশ ও রেলপথ আটকে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।

বনানী থানার ওসি রাসেল সারোয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা মহাখালী রেলক্রসিংয়ে শিক্ষার্থীদের ঘিরে অবস্থান করছি। এর বাইরে উচ্চপর্যায় থেকে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।”

এর আগে দুপুরে আন্দোলনকারীরা তিতুমীর ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে বাঁশ ফেলে সড়ক অবরোধ করেন।

গেল ২৭ জানুয়ারি রাতে ‘তিতুমীর ঐক্যর তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামো গঠনে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়। দাবি মানা না হলে বৃহস্পতিবার থেকে অবরোধের ঘোষণাও দেওয়া হয় তখন।

ওই রাতেই ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আমরণ অনশন’ লেখা ব্যানার টাঙিয়ে কলেজের মূল ফটকের সামনে অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম ‘তিতুমীর ঐক্যর’ সাত দফার মধ্যে রয়েছে, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ; ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রশাসন গঠন করে ২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা এবং শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা কিংবা শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন করা।

Link copied!