উপাচার্যকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বললেন বাকৃবি শিক্ষার্থীরা, অন্যথায় ‘কঠোর আন্দোলন’

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫, ০২:৪৫ পিএম

উপাচার্যকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বললেন বাকৃবি শিক্ষার্থীরা, অন্যথায় ‘কঠোর আন্দোলন’

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনায় উপাচার্য একেএম ফজলুল হক ভূঁইয়াকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়াসহ ছয় দফা দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমতলায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এএইচ এম হিমেল তাদের দাবি-দাওয়া সাংবাদিকদের সাামনে তুলে ধরেন।

দাবিগুলো তুলে ধরে হিমেল বলেন, বেলা ২টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশনা প্রত্যাহার, হলগুলোতে সব সুবিধা নিশ্চিত করা এবং প্রক্টরিয়াল বডিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ ও হামলার ঘটনায় উপাচার্যকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

এছাড়া হামলার সঙ্গে জড়িত শিক্ষক কৃষি অনুষদের আসাদুজ্জামান সরকার, তোফাজ্জল, শরীফ, রাফি, বজলুর রহমান মোল্লা, মনির, আশিকুর রহমান ও কামরুজ্জামানসহ বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং কম্বাইন্ড ডিগ্রি অনতিবিলম্বে প্রদানও দাবির মধ্যে রয়েছে বলে জানান হিমেল।

“ছয়দফা দাবি গৃহীত না হলে কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। প্রয়োজনে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় লকডাউন এবং ব্ল্যাক আউটে যাবে।” যোগ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের এ প্রতিনিধি।

এর আগে দাবি আদায়ে প্রায় দুইশ শিক্ষক কর্মকর্তাকে রোববার দিনভর অবরুদ্ধ করে রাখাকে কেন্দ্র করে বহিরাগতের হামলায় সাংবাদিক শিক্ষার্থীসহ দশ জন আহত হয়।

উদ্ভুত পরিস্থিতিতে রোববার রাত সাড়ে ৯টায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তে অনির্দিষ্টকালের জন‍্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি সব ছাত্র-ছাত্রীদের সোমবার সকাল ৯টার মধ্যে হল ত‍্যাগের নির্দেশ প্রদান করা হয়।

হল ছাড়ার ওই নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে সকাল ৯টার দিকে বিভিন্ন হল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা ‘কে আর’ মার্কেটে জড়ো হন। পরে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা ছয় দফার আল্টিমেটাম দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আবদুল আলীম বলেন, “নির্দেশনা অনেকে মেনে চলে গেছে; আবার অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে আন্দোলন করছে।

“হল খালি হলে সাধারণত দায়-দায়িত্ব লোকাল প্রশাসনের হাতে চলে যায়। আমরা বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গেও কথা বলছি। দেখি কি করা যায়।”

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের নয়টি এবং মেয়েদের পাঁচটি হল রয়েছে। মোট শিক্ষার্থী সাড়ে ছয় হাজারের মতো।

Link copied!