মে ৩০, ২০২৫, ১১:৩৪ এএম
ছবি: সংগৃহীত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি এখন স্থল নিম্নচাপ আকারে ঢাকা ও এর আশপাশে আছে।
শুক্রবার, ৩০ মে সকাল সাড়ে আটটার দিকে নিম্নচাপটির এ অবস্থানের কথা আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়। সূত্র জানান, গভীর নিম্নচাপ থেকে এটি এখন স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
আজ এটি লঘুচাপে পরিণত হবে। অর্থাৎ আজকের মধ্যেই এর শক্তি অনেকটাই কমে আসবে। তবে এর প্রভাবে আজ দিনভর বৃষ্টি হবে এবং আগামীকাল শনিবারও দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর এর মধ্যে জানিয়েছে, আজ এই নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের অন্তত পাঁচ বিভাগে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে বলেন, গভীর নিম্নচাপটি গতকাল রাতেই স্থল নিম্নচাপ আকারে সাতক্ষীরা ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান নেয়। এর পর থেকে এটি স্থল নিম্নচাপ আকারে রূপ নেয়। এখন নিম্নচাপের কেন্দ্র ঢাকা ও এর আশপাশে আছে। এটি ধীরে ধীরে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে এগোতে থাকবে। খবর প্রথম আলো।
নিম্নচাপের প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টির মধ্যে গতকাল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় অতিবর্ষণের কারণে।
গতকাল বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। এর প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় গতকাল থেকে প্রবল বর্ষণ চলছে। গতকাল নোয়াখালীর মাই থেকে উঠে ১৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। রাজধানীতেও প্রবল বৃষ্টি হয়। এ সময় রেকর্ড করা হয় ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, নিম্নচাপের প্রভাবে আজ ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।
৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারী বৃষ্টি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হলে তাকে অতিভারী বৃষ্টি বলা হয়।
আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম বলেন, নিম্নচাপটি আজই দিনের পরের দিকে লঘুচাপে পরিণত হতে পারে। তবে এর প্রভাব রয়ে যাবে, অর্থাৎ বৃষ্টি হতেই থাকবে। এই নিম্নচাপের গতি এখন সিলেটমুখী।
গতকাল থেকে নিম্নচাপের প্রভাবে বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে প্রবল বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে শুরু করে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। উঁচু জোয়ারে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ভোলা-পটুয়াখালীসহ কয়েকটি এলাকায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। টানা বৃষ্টিতে অনেক এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন উপকূলের বাসিন্দারা।